রাজ্য

‘গত ১২ বছরে দুর্নীতির দায়ে কাউকে জেলে ভরতে পারেন নি’, বাম জমানায় চিরকুট সুপারিশে চাকরির বিতর্কে মমতাকে তোপ সিপিএম নেতা সুশান্তর

বামেদের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে। বাম আমলে চিরকুটের সুপারিশে কারা কারা চাকরি পেয়েছেন, সেই তালিকা প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে দলকে। এমনই নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই একই কথা শোনা গিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও। বাম আমলের দুর্নীতির পোস্টমর্টেম করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এবার এই নিয়ে মমতাকে তোপ দাগলেন সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ।

মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগে সুশান্ত বলেন, “২০১১ সালের ক্ষমতায় আসার আগে ওনার ইস্তেহারেই ছিল এ কথা। বলেছিলেন বাম আমলে যে দুর্নীতি হয়েছে সেই দুর্নীতি তদন্ত করে প্রকাশ্যে আনবেন। দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত কাউকে রেয়াত করবেন না। তারপর থেকে ১২ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। আজ অবধি কাউকে দুর্নীতির দায়ে জেলে ভরতে পারেননি, তদন্তে কিছু পাননি। এখন আবার বলছেন। গোটা দলটাই দুর্নীতির দায় অভিযুক্ত। এখন তো দলটার গায়ে চোরের দলের তকমা লেগে গিয়েছে”।

এই নিয়ে কটাক্ষ করেছেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য গার্গী চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “দিদি বাম আমলের ফাইল খুলতে গিয়ে আবার নিজেদের ফাইল যেন খুলে না ফেলেন। এর আগেও তাই বলেছিল। দেখা গিয়েছে নিজেদের ফাইল খুলে ফেলেছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জেলে আছে। এবার বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী জেলে যাবে”।

দু’দিন আগেই এই নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। তাঁর কথায়, “রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর চাকরিটাও হয়েছিল বাম আমলে। সেটাও যেন শ্বেতপত্রে থাকে”।

প্রসঙ্গত, বাম আমলে চিরকুটের সুপারিশে চাকরির বিতর্কের মাঝেই সিপিএমের চাকরির একটি সুপারিশপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তদন্তের দাবী তোলেন তৃণমূল রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তবে ভাইরাল হওয়া ওই চিরকুটকে ভুয়ো বলে দাবী করেন বামনেতারা।

Related Articles

Back to top button