‘গলায় গামছা দিয়ে গরিব মানুষের টাকা আদায় করা হবে’, দুর্নীতি প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতাদের হুঁশিয়ারি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর

রাজ্য সরকার এই মুহূর্তে নানান দুর্নীতিতে (corruptions) বিদ্ধ। নিয়োগ দুর্নীতি (recruitment scam) থেকে শুরু করে গরু পাচার (cattle smuggling case), কয়লা পাচার নানান মামলায় তৃণমূলের একাধিক নেতা এখন জেলবন্দি। এই নিয়ে শাসক দলকে আক্রমণ করেই চলেছে বিরোধীরা। এবার প্রকাশ্য সভায় তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি শানালেন সিপিএমের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা রাজ্য কমিটির সদস্য সুশান্ত ঘোষ (Sushant Ghosh)। এর পাল্টা দিল তৃণমূলও (TMC)।
গতকাল, রবিবার রঘুনাথপুর ১ ব্লকের শাঁকা গ্রামের ফুটবল মাঠে আয়োজিত হয় ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের দ্বিতীয় পুরুলিয়া জেলা সম্মেলন। এই সভায় এদিন উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ। তৃণমূলের ছোটো থেকে বড় সমস্ত নেতাকে ‘চোর’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, “তৃণমূলে পদ পেতে হলে টাকা দিতে হয়। পঞ্চায়েতে, পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে টাকা দিতে হয়”।
তাঁর সংযোজন, “তৃণমূলের যারা চুরি করে সম্পদের পাহাড় তৈরি করেছেন পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর তাঁদের গলায় গামছা দিয়ে টাকা আদায় করা হবে। গরিব মানুষের টাকা বুঝিয়ে দিতে হবে। পালিয়ে যাওয়ার কোনও রাস্তা থাকবে না”।
এদিন এই সিপিএম নেতা এও দাবী করেন যে মাওবাদীদের নেতারা এই মুখ্যমন্ত্রীকেই ক্ষমতায় আনতে চেয়েছিল। আর এখন অনেক মাওবাদী নেতাই তৃণমূলের ব্লক ও জেলাস্তরের নেতা হয়ে পড়েছেন।
এদিন এই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্যের সম্পাদক তথা সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্র হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “২০১৮ সালে যে ভাবে তৃণমূল বিরোধীশূন্য করার কথা বলে বামেদের মনোনয়ন জমা করতে দেয়নি এইবার সেই পথে তৃণমূল গেলে খুব বড় ভূল করবে”। এই একই কথা শোনা গেল সুশান্ত ঘোষের গলাতেও।
এই মন্তব্য প্রসঙ্গে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সুশান্ত ঘোষদের দলটাই তো শেষ হয়ে গিয়েছে, গলায় গামছাটা দেবেন কে? টিআরপি বাড়ানোর জন্য হুঙ্কার দিয়ে কিছু হবে না। তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে জনতা আছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলে তা বোঝা যাবে”।