‘হরে করো কমবা, গরু ডাকে হামবা’, মমতার ‘আজব ছড়া’র মানে বুঝিয়ে ব্যাখ্যা করলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য

গতকাল, ২৫শে বৈশাখের দিন রবীন্দ্র সদনে অনুষ্ঠিত হওয়া রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে বাংলা অ্যাকাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নিরলস সাহিত্য সাধনার জন্য এই পুরস্কার পান তিনি। রাজ্য সরকারের এই পুরস্কার পাওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে নানান চর্চা। এই ঘটনা নিয়ে সমালোচনা করেছেন নেটিজেনদের একাংশ। অনেকেই এই ঘটনাকে কটাক্ষ করেছেন। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক ছড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাখ্যা করলেন তৃণমূল যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা অ্যাকাডেমি পুরস্কার পাওয়ার পরই ফেসবুকে দীর্ঘ একটি পোস্ট করেন তৃণমূল যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। তিনি লেখেন, “দিদির কবিতায় ওরা নিজেদের খুঁজে পায়! তাই হাসে”। এখানে ‘ওরা’ বলতে যে দেবাংশু বিজেপি ও সিপিএমের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন, তা বেশ স্পষ্ট।
এর পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ছড়া ‘হরে করো কমবা, গরু ডাকে হামবা’ পঙক্তি ধরে ধরে ব্যাখ্যাও করেছেন দেবাংশু। তিনি লেখেন, “যারা তাঁর লেখা ‘আজব ছড়া’ শুনে হাসেন কিংবা ‘হরে করো কমবা’ শুনে হাসেন, ঠিকই করেন। এই নির্দিষ্ট কবিতাটির প্রথম তিনটি লাইন দেখুন, ভারত শাসন করা একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হুবহু মিলে যাচ্ছে”।
এখানেই শেষ নয়। দেবাংশু এও জানান যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ‘হরে করো কমবা’ ছড়াটিতে সিপিএমকে নাকি কটাক্ষ করা হয়েছে। আর সেই নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি লেখেন, “এই কবিতাটির শেষ চারটি লাইন দেখুন। ফেসবুক দেখলেই একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের কর্মীদের দেখবেন যারা সারাক্ষণ ‘হুব্বা’র মতো সবজান্তা ভাব দেখান! কেবল নিজেদেরই শিক্ষিত ভাবেন! তাই আব্বাস নামক এক ব্যক্তির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে ‘তওবা তওবা আব্বা’ করে বেরানো একটি দল! নিজেদের সেক্যুলারিজমের পিন্ডি চটকানো একশ্রেণীর ‘হুব্বা’ গোছের রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্যে আঘাম যেন উনি লিখে ফেলেছিলেন তাঁদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ, আসনসংখ্যা…বলুন তো কোথায়? হ্যাঁ, এই কবিতার শেষ থেকে তৃতীয় লাইনে…ডোব্বা ডোব্বা রোব্বা”।
পোস্টের শেষে দেবাংশু লেখেন, “এরপরও যদি মনে করেন এই মহিলার উপর ওদের রাগ থাকবে না কেন, তাহলে আপনিই একটি ‘হরে করো কমবা’”।