‘মা’ মমতার থেকে পুজোর উপহার পেলেন দেবাংশু, বেজায় খুশি তৃণমূল নেতা
আর মাত্র কিছুদিনের অপেক্ষা, এরপরই আসছে বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। জায়গায় জায়গায় শুরু হবে মাতৃবন্দনা। করোনার জেরে আড়ম্বর খানিকটা ফিকে হয়ে গেলেও উচ্ছ্বাস বা আবেগে কিন্তু কোনও ভাটা পড়েনি বাঙালির।
তবে পুজোর আগেই রয়েছে হাই ভোল্টেজ কেন্দ্রে ভোটের লড়াই। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়ছেন উপনির্বাচনে। প্রচার থেকে শুরু করে ভোটের প্রস্তুতি, সবই সারছেন একা হাতে। তবে এসবের মধ্যেও নিজের দলের সদস্য যাদের তিনি নিজের পরিবার বলেন, তাদের মুখে হাসি ফোটাতে কিন্তু তিনি ভোলেন নি। ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের জন্য পুজোর উপহার পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতার দেওয়া নীল-সাদা পাঞ্জাবীর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেবাংশ লেখেন, “দিদির তরফে পুজোর উপহার। পুজোর প্রথম পোশাকটা নিজের আদর্শের কাছ থেকে পাওয়ার আনন্দ বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা আমার নেই। এক মায়ের থেকে একটা জামা হয়ে গেল! ঠিক ছোটবেলার মত আনন্দ হচ্ছে”। উপহার পেয়ে যে তিনি অত্যন্ত খুশি, তা বেশ স্পষ্ট দেবাংশুর এই পোস্টে।
দেবাংশুর এই পোস্টে কমেন্ট করে অনেকেই এই উপহারের প্রশংসা করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মুহূর্তে উপনির্বাচনে কাজে বেশ ব্যস্ত। আগামী ৩০শে সেপ্টেম্বর ভোট। রেকর্ড ভোটে জয়ী হতে চান তিনি। সেই প্রস্তুতিই চলছে।
এদিকে ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারীকে লড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। একটি ফেসবুক লাইভে তিনি তীব্র কটাক্ষের সুরে বলেছিলেন, “পৃথিবীর সবথেকে বড় জননেতা, যাঁকে রাশিয়ার পুতিন থেকে শুরু করে চিন সংগঠন তৈরিতে ডাক পাঠান, এমনকী পৃথিবীর বাইরে মঙ্গল গ্রহেও যাঁর প্রভাব আমরা দেখতে পাই, সেই শুভেন্দু অধিকারীকে আমরা ভবানীপুরে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই”।
শুধু এখানেই শেষ নয়, দেবাংশু সেই লাইভে আরও বলেন, “গায়ে বরফ মেখে বুধেও সংগঠন বিস্তার করার লক্ষ্যে যান শুভেন্দু অধিকারী। যাঁর এত সাংগঠিক ক্ষমতা, নন্দীগ্রামের সেই ডিসপিউটেড বিধায়কে ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। সকলের উদ্দেশে বলছি আপনাও এই বার্তা দিন যে ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শুভেন্দুকেই চাই”।