নরেন্দ্র মোদীর ভূয়সী প্রশংসা দিব্যেন্দু অধিকারীর মুখে, অধিকারী বাড়ির রাজনৈতিক সমীকরণ কী বদলাচ্ছে?

“আরও একবার আপনি আমাদের গর্বিত করেছেন”। হ্যাঁ, এই ভাষা দিয়েই শুরু হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লেখা তৃণমূল সাংসদ তথা শুভেন্দু অধিকারীর দাদা দিব্যেন্দু অধিকারীর চিঠি। আফগানিস্তানের ঘটনায় ভারতীয়দের তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারের কারণে প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন দিব্যেন্দু।
এমনিতেই দিব্যেন্দু ও তাঁর বাবা শিশির অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। আর এরই মধ্যে মোদীর প্রশংসায় দিব্যেন্দুর এই চিঠি নতুন করে ফের জল্পনা উস্কে দিল রাজ্য রাজনীতিতে।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা ওই চিঠিতে দিব্যেন্দু লিখেছেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আরও একবার আপনি আমাদের গর্বের কারণ হলেন। আফগানিস্তানে তালিবানদের প্রবেশের পর প্রবাসী ভারতীয় ও কূটনীতিকদের যে পদক্ষেপ করেছেন, তা উল্লেখযোগ্য। আপনার নেতৃত্বে বিদেশ মন্ত্রক যে বিচক্ষনতার পরিচয় দিয়েছে, তা অনস্বীকার্য। আফগানিস্তানের শিখ বা হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য যে বার্তা আপনি দিয়েছেন, তা নজিরবিহীন। তাঁদের সুরক্ষার জন্য সব কিছু করতে তৎপর আপনার সরকার”।
আরও পড়ুন- ‘মুকুল রায়ের বিধানসভায় ঢোকার কোনও মুখ নেই’, প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সকাল সকাল মুকুলকে তোপ দিলীপের
শুধু তাই-ই নয় আফগানবাসীদের ভারতে থাকার জন্য কেন্দ্রের তরফে যে ফাস্ট ট্র্যাক ভিসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেই সিদ্ধান্তেরও যথেষ্ট প্রশংসা করেছেন দিব্যেন্দু। তিনি লেখেন, “আপনার এই সদর্থক পদক্ষেপ আগামী কয়েক দশক ধরে উদাহরণ হয়ে থাকবে”। দিব্যেন্দুর এই চিঠির পর ফের নতুন করে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। শুভেন্দু ও সৌমেন্দুর মতো দিব্যেন্দুও কী গেরুয়া শিবিরে যোগ দেবেন, এ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
একুশের নির্বাচনের পর অনেকেরই ধারণা ছিল যে অধিকারী পরিবারের ছবিটা আরও কিছুটা পালটাবে। কিন্তু দিব্যেন্দু ও শিশির অধিকারী সক্রিয়ভাবে বিজেপিতে যোগ দেন নি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বিজেপিতে গেলে বড় কোনও পদ পাওয়ার আশা আর নেই বলেও দিব্যেন্দু সে পথে পা বাড়াননি।
আবার অন্যদিকে, শিশির অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান জানাতে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে চিঠি দেয় তৃণমূল। এই চিঠির জবাব দিতে এক মাস সময় চেয়েছেন শিশির অধিকারী। তবে দিব্যেন্দু অধিকারী জানিয়েই দিয়েছিলেন যে তিনি এখনও তৃণমূলেই আছেন।
প্রসঙ্গত, একুশের নির্বাচনের আগেই বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই তিনি পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে শান্তিকুঞ্জে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়। ওয়াই ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল তৃণমূলের দুই সাংসদ শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারীকে।