এবার দিঘাতেই মিলবে গোয়ার মজা, নতুন বছরে নতুন রূপে সেজে উঠবে সমুদ্রসৈকত

নতুন বছরে এবার গোয়ার অনুভূতি মিলবে দিঘাতেই। এমনটা শুনলে একটি অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমনটাই হতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে। দিঘাকে গোয়ার মতো করে সাজিয়ে তোলার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। নতুন বছরে নতুন রূপে দেখা যাবে দিঘা সুন্দরীকে।
২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর দিঘাকে গোয়ার মতো করে সাজিয়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছিলেন। এরপর একে একে সৈকত সরণি বাঁধানো, সৈকতে ত্রিফলা আলো লাগানো, বিশ্ব বাংলা গেট তৈরি করে একটু একটু করে দিঘাকে সাজিয়ে তোলা হয়। এবার দিঘাকে পুরোপুরিভাবে গোয়ার মতো করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।
কিছুমাস আগেই ঘূর্ণিঝড় যশের প্রভাবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে সৈকতনগরী। যশের দাপটের পর দিঘা পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় দিঘার অবস্থা দেখে দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। প্রশাসনকে করকা নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে দিঘাকে পুরনো জায়গায় ফিরিয়ে আনা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশ মেনেই দিঘাকে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। জানা গিয়েছে, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। ফের দিঘাকে আগের মতো বা বলা ভালো আরও সুন্দর রূপে ফিরে পাবেন পর্যটকরা।
একের পর এক নিম্নচাপ ও অবিরাম বৃষ্টিপাত এর জেরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে রাস্তাঘাট সংস্কারের কাজ করতে সমস্যা তৈরি হয়। পুজোর পর থেকে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হলেও আবহাওয়া দফতর ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’-এর কথা ঘোষণা করে। এই নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়ে যান প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তিরা। তবে কী সদ্য ঘুরে দাঁড়ানো স্বপ্নসুন্দরী দিঘা ফের মুখ থুবড়ে পড়বে? এমনই আশঙ্কা দেখা যায় প্রশাসনিক কর্তাদের মধ্যে।
তবে আশার কথা, ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’-এর প্রভাব সেভাবে বাংলায় পড়েনি। গত দু’দিন শনি ও রবিবার অঝোর ধারায় বৃষ্টিপাত ও সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস কিছুটা বাড়লেও, সোমবার থেকে মেঘমুক্ত, রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ দেখা দিয়েছে দিঘা সৈকতে। ফলে এ দিন থেকেই দিঘাকে আগের মহিমায় তুলে ধরতে কাজ শুরু হয়েছে পুরোদমে।