West Bengal

আলোচনা না করেই সোনালিদের মতো তৃণমূলত্যাগীদের দলে নিয়েছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, অভিযোগ রাজ্য বিজেপির

বিজ্ঞাপন

টার্গেট ছিল ২০০, কিন্তু তা একশোর ঘরও পেরোয়নি। ভোটে হেরে যাওয়ার পর থেকেই বিজেপিতে যোগ দেওয়া অনেক নেতাই ফের নিজেদের পুরনো দলে ফিরে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছেন।

বিজ্ঞাপন

আজ, শনিবার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক সময়ের ছায়াসঙ্গী সাতগাছিয়ার প্রাক্তন বিধায়ক সোনালি গুহ সেই ফিরতে চাওয়াদের তালিকাভুক্ত হন। মমতার কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে টুইট করেন তিনি। তবে লাগাতার এই তৃণমূলে ফেরার ঘটনায় একেবারেই বিচলিত হন নি রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, “এদের আসা জাওয়াতে কিছু যাবে আসবে না। যারা প্রকৃত সৈনিক, তারা সবসময় ময়দানে থাকে”। এই ঘটনার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে দোষী ঠাওরাচ্ছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- কেঁদে তৃণমূল ছেড়ে ছিলেন, ‘আপনাকে ছাড়া বাঁচবো না’ বলে এবার ভগ্ন হৃদয় নিয়ে ফের মমতার দুয়ারে সোনালী গুহ!

বিজ্ঞাপন

শারীরিক কারণে এবার সোনালিকে ভোটের টিকিট দেয়নি তৃণমূল, এমন কথা জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি, প্রার্থীতালিকা ঘোষণার সময় গতিনি এও বলেন, ক্ষমতায় ফিরে বিধান পরিষদ গঠন করা হবে, তখন এদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হবে।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু এরপরেও টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ তুলে দল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন দীপেন্দু বিশ্বাস, সোনালি গুহ, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের মতো একাধিক বিদায়ী বিধায়ক। এর মধ্যে রবীন্দ্রনাথবাবুকে সিঙুর থেকে টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। বাকিদের ভাগ্যের সিকে ছেঁড়েনি।

বিজেপিতে যোগ দিয়ে সোনালি জানিয়েছিলেন, কিছু পেতে তিনি এখানে আসেননি। দল যা নির্দেশ দেবে সেই কাজই করবেন। এরপরই ভোটে হারতেই তিনি কিনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আঁচলের তলায়’ আশ্রয় চাইলেন!

বিজ্ঞাপন

সোনালির দলত্যাগ নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “অনেকে অনেক রকম উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছিল। এখানে স্বার্থসিদ্ধি সম্ভব নয় বুঝে চলে যাচ্ছেন। লড়াই করতে ভয় পাচ্ছেন”।

আরও পড়ুন- উডবার্নে সুব্রতর ঘরে মদন-শোভন, সঙ্গে বৈশাখীও! গৃহবন্দীর নির্দেশ পাওয়া তিন ‘অসুস্থ’ নেতার জরুরি বৈঠক নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বদের একাংশের দাবী, তাদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করেই একগাদা তৃণমূল ছেড়ে আসা নেতাদের দলে নিয়েছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এখন তারাই দল ছাড়ছে। আর ওদিকে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা ভোট মিটতেই রাজ্য ছেড়ে নিজের নিজের জায়গায় চলে গিয়েছেন। এখন তাদের অনেককেই ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না বলেও দাবী রাজ্য বিজেপির।

বিজ্ঞাপন
Back to top button

Discover more from Khabor24x7

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading