রাজ্যে মাত্র ১৫০০০ ভ্যাক্সিনেশন সেন্টার, ১২ লক্ষ ভ্যাকসিন গুদামে রেখে নষ্ট করছেন! মমতাকে পাল্টা প্রশ্ন দিলীপের
দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আজকের মিটিংকে ক্যাজুয়াল সুপার ফ্লপ মিটিং বলে অভিহিত করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট অভিযোগ করে জানিয়েছেন, আজকের মিটিংয়ে কিছুই বলতে দেওয়া হয়নি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের। পুতুলের মতো বসে ছিলেন তাঁরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট অভিযোগ করেছেন যদি ডাকার পর কিছু বলতেই না দেওয়া হয় তাহলে ডাকা কেনও?
আর কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ খোলার পরই রাজ্যের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন বিজেপির প্রদেশ অধ্যক্ষ দিলীপ ঘোষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা কটাক্ষ করে দিলীপবাবুর প্রশ্ন, রাজ্যের কাছে যে ১২ লক্ষ ভ্যাকসিন রয়েছে তা এখনো কেনও ব্যবহার করছেন না মুখ্যমন্ত্রী? বিজেপির রাজ্য সভাপতি এদিন বলেন, ‘রাজ্য সরকারের হাতে যে ১২ লক্ষ করোনা প্রতিষেধক রয়েছে সেগুলো কেনও ব্যবহার করছেন না মুখ্যমন্ত্রী? কেনও তিনি সেই ওই বিপুল পরিমাণ প্রতিষেধক গুদামে রেখে রেখে নষ্ট করছেন?
আরও পড়ুন-বিশেষ কারণবশত আজ হচ্ছেনা নারদ মামলার শুনানি! আপাতত জেল হেফাজতেই ৪ হেভিওয়েট নেতা
বিজেপির প্রদেশ অধ্যক্ষের অভিযোগ, ‘গত ১৫ই জানুয়ারি থেকে যখন টিকাকরণ শুরু হয় তখন মুখ্যমন্ত্রী বা তাঁর মন্ত্রীরা মানুষকে টিকা নিতে উৎসাহিত করেননি। সেই জায়গায় নিজেরা টিকার বাক্স চুরি করেছেন। পরে মোদীজি যখন টিকা নেন তখন মানুষ উৎসাহিত হয়ে টিকা নিতে শুরু করে।’
তবে এখানেই থামেননি দীলিপবাবু। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি বেহাল এটা বোঝাতে তাঁর অভিযোগ এই বিপুল জনসংখ্যার পশ্চিমবঙ্গে মাত্র ১৫,০০০ ভ্যাকসিনেশন সেন্টার খুলেছে সরকার। কেনও আরও বেশি প্রতিষেধক দান কেন্দ্র খোলা হচ্ছে না?’
তাঁর অভিযোগ, ‘মানুষের টিকাকরণ নয়, রাজ্য প্রশাসন এখন অভিযুক্তদের জেল থেকে বার করতে সর্বশক্তি ব্যবহার করছে।’
প্রসঙ্গত সোমবারই নারদা কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে দুই মন্ত্রীসহ ৪ জন নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন।