পোস্টারে ‘কন্যাশ্রী’ হয়ে গেল ‘কন্নাশ্রী’, ‘চাই’-এর ‘ই’ গেল উল্টে, বানান বিভ্রাটের জেরে কটাক্ষের মুখে দিলীপ
বাংলায় নারী নির্যাতন নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছিল। কিন্তু ভুল বানানের জেরে অপদস্থ হতে হল রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। তাঁর পোস্টারে ‘কন্যাশ্রী’ হয়ে গেল ‘কন্নাশ্রী’। এ নিয়ে তৃণমূলের তরফে কটাক্ষও কম হয়নি। তাদের কথায়, যিনি দাবী করেন গরুর দুধে সোনা রয়েছে, তাঁর থেকে এর থেকে বেশি আর কীই বা আশা করা যেতে পারে।
বাগনান গণধর্ষণ কাণ্ডের প্রতিবাদে এদিন সংসদ ভবনের বাইরে বিক্ষোভ দেখান নানান বিজেপি নেতা-নেত্রীরা। ছিলেন দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিং, দেবশ্রী চৌধুরী প্রমুখ। কিন্তু বিপত্তি ঘটে দিলীপ ঘোষের পোস্টারের বানান নিয়ে।
তাঁর পোস্টারে লেখা ছিল ‘কন্যাশ্রী চাই না, নারী সম্মান চাই’। কিন্তু ‘কন্যাশ্রী’ বানান হয়ে যায় ‘কন্নাশ্রী’ আর ‘চাই’-এর ‘ই’ কারের মাত্রাই উল্টে যায়। এ নিয়ে নেট মাধ্যমে তীব্র হাসির খোরাক হন দিলীপ ঘোষ। তাঁকে নিয়ে চরম রসিকতা করা হয়।
আরও পড়ুন- ভুয়ো পঞ্চায়েত প্রধান সেজে ছবি তৃণমূল নেতার, ধরা পড়তেই বললেন, ‘মজা করছিলাম’, ব্যাপক শোরগোল জামুড়িয়ায়
সুযোগ বুঝে তাঁকে নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ে নি তৃণমূলও। কুণাল ঘোষ বলেন, “বানান শিখে তারপর প্রতিবাদ করা উচিত ছিল”। তৃণমূলের মুখপাত্র তাপস রায় বলেন, “বিজেপি নাকি সোনার বাংলা গড়তে এসেছিল। বাংলার সংস্কৃতি ধ্বংস করে দেবে এরা”।
তবে পাল্টা জবাব দিতে ছাড়ে নি বিজেপিও। বানান বিভ্রাট প্রসঙ্গে দিলীপের মন্তব্য, বানান শেখার প্রয়োজন নেই, তিনি বানান শিখেই এসেছেন। এরইমধ্যে নিজের হাতের প্ল্যাকার্ডটা অবশ্য তিনি পাল্টে নেন। কিন্তু ততক্ষণে তাঁর ভুল বানানের পোস্টারের ছবি নেট মাধ্যমে ভাইরাল।
গত শনিবার বাগনানের বাইনানে বিজেপি কর্মীর অসুস্থ স্ত্রী’কে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ তোলা হয়। বিজেপির দাবী, রাজনৈতিক কারণেই ওই মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই সরব হয়েছে বিজেপি। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে মূল অভিযুক্তরা এখনও পলাতক।
এরইমধ্যে বুধবার মহিলা কমিশনে যান রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার প্রতিনিধিরা। জমা দেওয়া হয় স্মারকলিপি। অগ্নিমিত্রার অভিযোগ, বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বেছে বেছে ধর্ষণ করা হচ্ছে। আর ধর্ষকরা তৃণমূল কর্মী-সমর্থক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
পাশাপাশি তিনি আরও দাবী করেন, এই গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হলেন তৃণমূল নেতা দেবাশিস রানা এবং কুতুবউদ্দিন মল্লিক। কিন্তু তাঁদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ। এর পরিবর্তে অন্য দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।