‘আমার ধৈর্যের একটা সীমা আছে। ভেঙে গেলে অনেকের সমস্যা হতে পারে’, ফের দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ জিতেন্দ্র’র
যা ছেড়ে গেছেন তা এখনও পুনরুদ্ধার করতে পারেননি জিতেন্দ্র তিওয়ারি। দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে রাতারাতি তৃণমূলে ফিরলেও হৃত পদ ফিরে পাননি এই তৃণমূল নেতা। শুভেন্দু’র দলত্যাগের সময়ই তৃণমূল ছাড়েন এই নেতা। কিন্তু বিজেপি জায়গা দেয়নি। নিজের ভুল বুঝে ফের তৃণমূলে চলে আসেন তিনি।
আর তার পর থেকেই নানা ভাবে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে চলেছেন তিনি। এবার নাম না করে দলীয় নেতৃত্বকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বললেন, ‘আমারও একটা ধৈর্যের সীমা আছে।’
প্রসঙ্গত, গত ১৭ই ডিসেম্বর দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও আসানসোলের পুর প্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জিতেন্দ্র। হাতে ছিল শুধু পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক পদটি। রাতারাতি ভোল বদলে দলে ফিরলেও ছেড়ে যাওয়া ২ পদের কোনওটিই ফেরত দেওয়া হয়নি তাঁকে। দলের সভাতেও ডাক পাচ্ছেন না জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এই নিয়ে প্রকাশ্য বিবৃতিতে সরাসরি বিতর্কিত কিছু না বললেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ও জনসভায় নাম না করে তাঁর ক্ষোভের কথা জানিয়ে চলেছেন তিনি।
সোমবরা অন্ডালে এক বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে জিতেন্দ্র বলেন, ‘আমার ধৈর্যের একটা সীমা আছে। ভেঙে গেলে অনেকের সমস্যা হতে পারে।’
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জিতেন্দ্রর নিশানায় পাণ্ডবেশ্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। জিতেন্দ্রর পদত্যাগের পর থেকেই এলাকায় তাঁর বিরুদ্ধে জনমত তৈরিতে সক্রিয় ভূমিকা নেন তিনি। বিধায়কের বিরুদ্ধে হয় বিক্ষোভ মিছিল। জিতেন্দ্রর কুশপুতুলও পোড়ানো হয়। নাম না করে জিতেন্দ্র তাঁর দিকেই নিশানা করেছেন বলে মনে করছেন অনেকে।