‘বিপদে পড়লে সরাসরি আমাকে ফোন করুন’, করোনা রোগীদের স্বার্থে নিজের মোবাইল নম্বর দিলেন মন্ত্রী
যত দিন যাচ্ছে তত রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর বেহাল দশা নিয়ে সরব হচ্ছেন সকলে। কলকাতা মেডিকেল কলেজকে কোভিড হাসপাতাল ঘোষণা করার পরেও দুর্ভোগের শেষ নেই। পরিষেবা নিয়ে রোগীদের অসন্তোষ রয়েছে অন্যান্য সরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রেও।
এছাড়াও রোগীদের সাহায্য করতে সরকারের যেসব হেল্পলাইন নম্বর চালু হয়েছে তা কোন কাজ করছে না বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষের। তাই এবার পরিস্থিতি সামাল দিতে নিজের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ডাঃ নির্মল মাজি। সম্প্রতি নির্মল বাবু নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে রোগী ও তাঁদের পরিবারের উদ্দেশে বলেন, ”কোনও হেল্প লাইন নম্বরে ফোন না পেলে সরাসরি আমাকে ফোন করবেন।”
মুখ্যমন্ত্রী বর্তমান সংকটকালে স্বাস্থ্য দপ্তরকে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, করোনা হোক বা অন্য কোনও রোগ, চিকিৎসা পরিষেবায় কোনওরকম গাফিলতি বরদাস্ত করা যাবে না। কলকাতার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে উঠছে বিস্তর অভিযোগ। বিশেষত কলকাতার প্রথম কোভিড হাসপাতাল মেডিকেল কলেজে রোগীদের একাংশের অভিযোগ, এই সময়েও সেখানে রোগী ভরতিতে সক্রিয় দালালচক্র। রোগী প্রত্যাখ্যানেরও হাজার নমুনা আছে। এছাড়া এই হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা কম বলেও অভিযোগ রয়েছে। এই খবর পৌঁছেছে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মন্ত্রী ডাঃ নির্মল মাজির কাছে। আর তারপরই তিনি সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।
তাই রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থার হাল ফেরাতে নিজের হাতে দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন রাজ্যের এই মন্ত্রী। জানা গিয়েছে, দিনের মধ্যে ১২ ঘণ্টারও বেশি তিনি নিজে মেডিকেল কলেজ চত্বরে রীতিমত টহল দিচ্ছেন। চিকিৎসা পরিষেবা নিজের হাতে তদারকি করছেন। রোগীদের কাছ থেকে কোনো রকম অভিযোগ পেলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি নিজের মোবাইল নম্বর রোগীর পরিবারকে দিয়ে বলছেন, কোনও অসুবিধা হলে যেন তাঁকেই সরাসরি ফোন করা হয়।
ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে যে মেডিকেল কলেজ নিয়ে কোনোরকম অভিযোগ শুনতে একেবারেই নারাজ মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। এই হাসপাতালটি তিনি আদর্শ হিসেবে গড়ে তুলতে চান এবং তার জন্য যতটা পদক্ষেপ নেওয়ার দরকার তিনি নেবেন। ডাঃ নির্মল মাজির কাঁধে এই দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এতটা সক্রিয়তা দেখাচ্ছেন এই মন্ত্রী।