রাজ্য

ডিএ-র দাবীতে ধর্মঘটে যোগ দেওয়ার ‘অপরাধ’! ২০ হাজার শিক্ষককে শোকজ করল শিক্ষা দফতর, কাটা যাচ্ছে বেতনও

কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দাবী জানিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গত ১০ই মার্চ ধর্মঘট করেছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। সেদিন এই ধর্মঘটকে সমর্থন করতেই অনেক সরকারি স্কুলের শিক্ষকরাই স্কুলে যান নি। সেই কারণে এবার পদক্ষেপ করল শিক্ষা দফতর। ধর্মঘটকে সমর্থন করার জেরে এবার রাজ্যের ২০ হাজার শিক্ষককে শোকজ করা হল।

রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ধর্মঘট রুখতে রাজ্য সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছিল যাতে ওইদিন নিয়ম বহির্ভূত ছুটি কেউ না নেয়। যদি কেউ ধর্মঘটে সামিল হন বা ধর্মঘটের কারণে কাজে যোগ না দেন, তাহলে তাদের কর্মজীবন থেকে একদিনের ছুটি বাদ যাবে বলেও জানানো হয়।

যদিও সরকারের এই নির্দেশের পরও ধর্মঘট রোখা যায় নি। বেশ ভালোভাবেই ধর্মঘট পালন করে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। তাদের বিরুদ্ধে পাঠানো হয়েছে শোকজ নোটিশ। এর আগেও দফতরের ভিত্তিতে অনেক কর্মচারীকেই শোকজ নোটিশ ধরানো হয়েছিল। এবার পালা শিক্ষকদের।

সূত্রের খবর, ঐ শিক্ষকদের থেকে খুব দ্রুত এই নোটিশের জবাব চাওয়া হয়েছে। উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, সরকারি নির্দেশ অনুসারেই বেশ কয়েকজন শিক্ষকের একদিনের বেতন কাটাও হচ্ছে। কাদের কাদের বেতন কাটা হচ্ছে, দফতরের তরফে সেই তালিকাও দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

সরকারের এই শোকজ নোটিশের জবাবে ইতিমধ্যেই উত্তর দিতে শুরু করেছেন ধর্মঘটীরা। তবে তারা এও জানান, নিয়ম মেনেই তারা নায্য দাবীর পক্ষে ধর্মঘট করেছেন। সেই জবাব আবার সংশ্লিষ্ট দফতরের পছন্দ হয়নি বলেও জানা যাচ্ছে। ফলে বেতন কাটার মতো কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শুধু তাই-ই নয়, পাশাপাশি আন্দোলনে যুক্ত ১০ আধিকারিককে অন্যত্র বদলির নোটিশ ধরিয়েছে নবান্ন। আন্দোলনকারীদের মতে, এর পিছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা রয়েছে, এই প্রসঙ্গে সংগ্রামী যৌথমঞ্চের তরফে তাপস চক্রবর্তী বলেন, “ডিএ নিয়ে আন্দোলনের শাস্তি মিলল। আমাদের ১০ অফিসারকে বিভিন্ন জায়গায় বদলি করা হয়েছে। অনেক জায়গায় বেতন কাটা হচ্ছে। তবু আমাদের আন্দোলন থামবে না”।

debangon chakraborty

Related Articles

Back to top button