মেধাতালিকায় থাকা সকল প্রার্থীকে চাকরি দিতে প্রস্তুত সরকার, প্রয়োজনে বেআইনিভাবে নিয়োগ সকলের চাকরি বাতিল করা হবে, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
এসএসসি-তে নিয়োগ নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সরকারি তরফে এই প্রথম জানানো হল যে মেধাতালিকায় যাদের নাম রয়েছে, যারা আন্দোলন করছেন, যাদের নাম রয়েছে ওয়েটিং লিস্টে, সরকার তাদের চাকরি দিতে প্রস্তুত। এনিয়ে আজ, মঙ্গলবার আদালতে একটি হলফনামাও জমা দেওয়া হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে। এই হলফনামায় বলা হয়েছে যাদের বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে বলে আদালত মনে করছে, তাদের বাতিল করে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ করবে সরকার। ওয়েটিং লিস্টে থাকা সকলকে চাকরি দিতেও সরকারি রাজি বলে জানানো হয়েছে ওই হলফনামায়।
সরকারের মতে, এখন সিদ্ধান্ত আদালতের। আদালত জি মনে করে যে বেআইনিভাবে যারা চাকরি পেয়েছেন, তাদের চাকরি বাতিল করে যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হবে, তাহলে তা করতে সরকার প্রস্তুত। ইতিমধ্যে ৫,২৬১টি পদ তৈরি করা হয়েছে সরকারের তরফে। এরপরও যদি মনে হয়, তাহলে আরও ৯ হাজার পদ তৈরি করে আন্দোলনকারীদের চাকরি দেবে সরকার।
আজ, মঙ্গলবার এই নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রায় বসু বলেন, “যে টেট নেওয়া হচ্ছে তা করা হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। বিজেপি সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশ মানতেই চাইছে না। রাজ্যে কর্মসংস্থানেও তারা বাধা দিচ্ছেন। আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের কাছে আবেদন করছি, আপনারা দেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী শূন্যপদ সৃষ্টি করতে চেয়েছেন। সেই অনুযায়ী আদালতকে এসএসসি তা জানাচ্ছে। তাই সেই সদিচ্ছার উপরে ভরসা রেখে আপনারা আপনাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিন। বাড়ি ফিরে যান। পুজোয় আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে সময় কাটান। আদালত যে নির্দেশ দেবে সেই অনুয়ায়ী আমরা চাকরিপ্রার্থীদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব”।
মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের চাকরিপ্রার্থীরাও নিয়োগ নিয়ে আন্দোলন করছে। এই বিষয়ে ব্রাত্য বসু বলেন, “এনিয়ে আমি সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী গোলাম রব্বানির সঙ্গে কথা বলেছি। উনি আমাকে বলেছেন চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে তাঁর একটি বৈঠক রয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেই বৈঠক হয়েও গিয়েছে। আশাকরি এর একটা সুষ্ঠু সমাধান বেরিয়ে আসবে”।
ব্রাত্য বসুর এই ঘোষণা নিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এক সংবামাধ্যমে বলেন, “মার্চে সরকার বলেছিল শিক্ষাক্ষেত্রে সাড়ে তিন লাখ শূন্য পদ রয়েছে। এবার ৬ মাস পার করে এই সেপ্টেম্বরে এমন কথা বলা হচ্ছে। তাই না আঁচালে কোনও বিশ্বাস নেই। কোর্ট নির্দেশ দিলে অনেকের নিয়োগ বাতিল করা হবে বে জানিয়েছেন ব্রাত্য। এসব বলা বাতুলতা”।
সিপিএম নেতার মতে, “কোর্টের নির্দেশ বাতিল করার ক্ষমতা সরকারের নেই। শিক্ষামন্ত্রী যে নিয়োগের কথা বলছে তা কাদের? ওয়েটিং লিস্টের বাইরে ওএমআর শিটে যাদের মার্কস গন্ডগোল করে রাখা হয়েছে তাদের কী হবে। প্রশ্ন ভুল করে রেখেছে। তার পরেও মুখ্যমন্ত্রীর এই সদিচ্ছাকে স্বাগত জানাই। এভার সরকার বিশ্বাসযোগ্য অবস্থান নিন”।