উপনির্বাচনের জন্য রাজ্যে শুরু প্রস্তুতি, করোনা বিধিনিষেধের সঙ্গে কোনও আপোশ নয়, কড়া নির্দেশ কমিশনের
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের সময় সঠিক করোনা বিধি মেনে চলা হয়নি। এই নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকেও যথেষ্ট কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছিল। এমনকি, কলকাতা হাইকোর্ট ও মাদ্রাজা হাইকোর্টের তরফেও নির্বাচন কমিশনকে নানাভাবে দোষারোপ করে তোপ দাগা হয়।
এই কারণে এবার রাজ্যের উপনির্বাচনে সমস্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে উদ্যত কমিশন। করোনা বিধিনিষেধ সংক্রান্ত কোনও খামতি যাতে না থাকতে পারে, সেদিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে কমিশন। জেলাশাসকদেরও এই বিষয়ে আগে থেকেই অবগত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘দয়া করে দেশকে বাঁচান’, একুশের মঞ্চ থেকে সুপ্রিম কোর্টকে আর্জি জানিয়ে মোদী-শাহ্’কে তুলোধোনা মমতার
যেসমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে চলেছে, সেখানে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে ইভিএম-ভিভিপ্যাটের প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষা। কমিশনের তরফে এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। খড়দহ, ভবানীপুর, গোসাবা, জঙ্গিপুর, সামশেরগঞ্জ, শান্তিপুর, দিনহাটা কেন্দ্রে হতে চলেছে উপনির্বাচন। এই কেন্দ্রগুলিতে শুরু হয়ে গিয়েছে ইভিএম-ভিভিপ্যাটের প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষা।
তবে মুর্শিদাবাদের যে দুটি কেন্দ্রে ভোটই হয়নি, সেখানকার ইভিএম-ভিভিপ্যাটের প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষার কোনও দরকার নেই বলেই জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে। এই ইভিএম-ভিভিপ্যাটের প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষা থেকেই কোনও জায়গার নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়। এটিকে প্রথম ধাপ বলা যেতে পারে।
ইতিমধ্যেই এইসব কেন্দ্রে ইভিএম-ভিভিপ্যাটের প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষা কমিশন শুরু করে দেওয়ার বেশ তাড়াতাড়িই হতে চলেছে উপনির্বাচন। আগামী ৩রা আগস্ট থেকে ৬ই আগস্টের মধ্যে জেলাগুলিকে এই কাজ সেরে ফেলার কথা বলা হয়েছে। এই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব।
সমস্ত কেন্দ্রে যাতে সঠিকভাবে করোনা বিধিনিষেধ পালন করা হয়, এমন কড়া নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তারা দৈনন্দিন কাজের ফাঁকেই উপনির্বাচনের প্রস্তুতি নেন। তবে করোনা বিধিনিষেধের সঙ্গে কোনও আপোষ করা যাবে না।
আরও পড়ুন- করোনা পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল শহিদ দিবস উদযাপন, জেলায় জেলায় শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি তুঙ্গে
কমিশনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যে সমস্ত আধিকারিক প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত থাকবেন বা নানান রাজনৈতিক দলের যে সমস্ত প্রতিনিধিরা সেখানে উপস্থিত থাকবেন, তাদের সকলকে করোনা বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। আসলে, এর আগে বিধানসভা নির্বাচনে কমিশনের বেশ মুখ পুড়েছে, তাই সেই ঘটনার আর কোনও পুনরাবৃত্তি চাইছে না কমিশন। তাই এবার বেশ আটঘাট বেঁধেই নির্বাচনের ময়দানে নামতে চাইছে কমিশন।