’৫০ থেকে ৮০ হাজার ভোটে জিতবেন মমতা’, আশাবাদী ফিরহাদ
চলছে ভোট গণনা। ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে তৃতীয় রাউন্ডের গণনা। ২১ রাউন্ড গণনা হওয়ার কথা। তবে গণনার প্রথম থেকেই ভবানীপুর কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদের দুই কেন্দ্র সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরেও এগিয়ে রয়েছে তৃণমূলই। ভবানীপুরে মমতা যে বিশাল একটা ব্যবধানেই জিতবেন, তা নিয়ে আশাবাদী রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
একুশের নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা। সেখানে তাঁর প্রতিপক্ষ ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লড়েছিলেন বিজেপির হয়ে। বেশ হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ফল প্রকাশের দিন দেখা যায় যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে নন্দীগ্রাম থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন শুভেন্দুই।
তবে মমতার দল জিতে যাওয়ার কারণে তিনিই ফের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেন। কিন্তু এই গদি টিকিয়ে রাখতে গেলে ছয় মাসের মধ্যে কোনও এক বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিততেই হত মমতাকে। ভবানীপুরে জয়ী প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় নিজের বিধায়ক পদ ছেড়ে দেওয়ায় সেই কেন্দ্র থেকেই উপনির্বাচনে লড়েন মমতা।
অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে লড়াই করেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল ও বামেদের তরফে প্রার্থী ছিলেন শ্রীজীব বিশ্বাস। গত ৩০শে নভেম্বর হয় ভবানীপুরে উপনির্বাচন। এরই সঙ্গে সাধারণ নির্বাচন হয় মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরেও। এই তিন কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল প্রকাশের দিন আজ।
চলছে মমতার গদি টিকিয়ে রাখার লড়াই। তবে বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানালেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বড় মার্জিনে জয়ী হবেন। প্রায় ৫০ থেকে ৮০ হাজার ভোটে জিতবেন তিনি”।
এদিকে আবার এদিন ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর রাজ্যে হিংসাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবিরেওয়াল। ইতিমধ্যেই রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি চিঠি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল ও কলকাতা পুলিশ কমিশিনারকেও।