বিজেপি’র নবান্ন অভিযানে উদ্ধার বন্দুক, ‘লাইসেন্স প্রাপ্ত’ বলে অভিযোগ ওড়ালেন দিলীপ

আজকে বিজেপির নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) ঘিরে ধুন্ধুমার হয়েছে বঙ্গে। উক্ত কর্মসূচিকে ঘিরে আজ রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে রাজপথ। উত্তেজনা ছড়ায় হাওড়া সাঁতরাগাছি স্টেশনে। তুলকালাম বাঁধে হাওড়া ফোরশোর রোড, জিটি রোডেও। অভিযোগ ওঠে বোমাবাজিরও! হাওড়া ময়দান এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি বিজেপির মিছিল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক কর্মীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। আর এই বন্দুক উদ্ধার বিতর্ককে সপাটে ওড়ালেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
নবান্ন অভিযান কর্মসূচি থেকে বন্দুক উদ্ধারের কথা স্বীকার করে নিয়ে দিলীপ ঘোষ আজ বিকেলে দলের রাজ্য সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে বিষয়টি স্পষ্ট করেন। নিজের বক্তব্যে তিনি জানান, বন্দুকটি এক বিজেপি নেতার সম্পত্তি। তাঁর দেহরক্ষীর কাছে বন্দুকটি ছিল। তাঁরও লাইসেন্সও রয়েছে।
বিকেলের সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপ ঘোষ জানান, হাওড়া ময়দানে নবান্ন অভিযান কর্মসূচি থেকে পুলিশ বন্দুক উদ্ধার করেছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা অনর্থক। আদতে ওই বন্দুক প্রিয়াংশু পাণ্ডে নামে এক বিজেপি নেতার। ভাটপাড়ার ওই বিজেপি নেতার দেহরক্ষীর কাছেই বন্দুকটি ছিল। দেহরক্ষীকে নিয়ে দলের কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছিলেন ওই বিজেপি নেতা। তখনই দেহরক্ষীর কাছ থেকে তাঁর বন্দুকটি কেড়ে নেয় পুলিশ।
দিলীপবাবুর দাবি, ওই বন্দুকের লাইসেন্সের নথি প্রিয়াংশু পাণ্ডের (Priyanshu Panday) কাছে রয়েছে। সেকথা আমাকে ফোনে নিশ্চিত করেছেন বিজেপি’র জেলা সভাপতি। ফলে কোনও বেআইনি বন্দুক বিজেপির মিছিলে ছিল না।
একই সঙ্গে তাঁর দাবি বোমাবাজি হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে বিজেপির মিছিল ঘিরে তা পড়েছে স্থানীয় বাড়িগুলির ছাদ থেকে। বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়েছে। বোমার স্প্লিন্টারে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী। এই ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন তিনি।