তাপপ্রবাহে পুড়ছে বঙ্গবাসী, কবে আদৌ বৃষ্টির দেখা মিলবে, কী বলছে আবহাওয়া দফতর?

এবছর শুরুর থেকেই একেবারে চরম ব্যাটিং হাঁকিয়েছে গরম। বৈশাখ মাসের প্রতজম থেকেই গরমে হাঁসফাঁস করছে বঙ্গবাসী। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হলেও দক্ষিণবঙ্গের মানুষ হাপুস নয়নে তাকিয়ে আকাশের দিকে। আর এর উপর শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ।
আজ, সোমবার সকাল ১১টা থেকেই কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। এই পরিস্থিতির আদৌ কী উন্নতি হবে, বা হলেও বা কবে হবে, তা এবার জানাল হাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদদের কথায়, উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে গরম হাওয়া লাগাতার এ রাজ্যে ঢুকছে। এর জেরে তাপপ্রবাহ হচ্ছে বাংলায়। আপাতত বৃষ্টির কোনও দেখা মিলবে না বলেই জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। উলটে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলবে বলে জানানো হয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে যে আগামী ২৮শে এপ্রিল পর্যন্ত এভাবেই পুড়তে হবে বঙ্গবাসীকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়া কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই আগামীকাল, মঙ্গলবারও তাপপ্রবাহ চলবে। ২৭ এবং ২৮ এপ্রিলও বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বীরভূমে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দিচ্ছে হাওয়া অফিস। শুধু দক্ষিণবঙ্গই নয়, উত্তরের মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুরও গরমে পুড়বে বলেই জানানো হয়েছে।
ইতিমধ্যেই পশ্চিমের একাধিক জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পেরিয়েছে। গতকাল বাঁকুড়ার তাপমাত্রা ছিল ৪৩ ডিগ্রি। এটাই সর্বোচ্চ। এছাড়া পশ্চিম মেদিনীপুর, পানাগড়, আসানসোল, পুরুলিয়া, মালদহ-সহ একাধিক এলাকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রিরও বেশি ছিল। এদিকে কলকাতার ব্যারাকপুর, দমদম এলাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পেরিয়েছিল।
কিন্তু এই তাপপ্রবাহ আসলে কী?
মৌসম ভবনের কথায়, তাপপ্রবাহ হলে এমন একটি পরিস্থিতি যখন তাপমাত্রা মানুষের জন্য প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। সমভূমি এলাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির উপরে উঠে গেলে বা পাহাড়ি এলাকায় তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়ালে তা তাপপ্রবাহ বলে ধরা হয়।