পুজোর শেষ লগ্নে কাটল আনন্দের তাল, নবমীতেই দক্ষিণবঙ্গে শুরু বজ্রবিদ্যুৎ সহ প্রবল বৃষ্টি

হাতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। এরপরই উমা পাড়ি দেবেন কৈলাসের উদ্দেশ্যে। দশমীর ঢাকের তালে বেজে উঠবে বিষাদের সুর। এর আগে নবমীর দিনটা আনন্দের শেষ নির্যাসটুকু নিংড়ে নিতে চায় আপামর বাঙালি। কিন্তু তাতেও বাধা হয়ে দাঁড়াল বৃষ্টি। আজ, নবমীর দিন সকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গের নানান এলাকায় শুরু তুমুল বৃষ্টি।
আকাশ কালো করে দুর্যোগের আকার নেয় শরতের আবহাওয়া। বর্ধমানের একাধিক জায়গায় বৃষ্টির জেরে রাস্তাঘাট ফাঁকা। কতক্ষণ এই পরিস্থিতি চলবে, জানা নেই কারোর। বৃষ্টি থামার অপেক্ষায় মানুষ।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসই ছিল যে পুজোর সময় বৃষ্টি সেভাবে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। তবে দশমীর শেষে সপ্তাহান্তে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিতে ভেজার কথা বাংলায়। কিন্তু সেই বৃষ্টি যে নবমীর দিনই ঝমঝমিয়ে নামবে, তা কেউ হয়ত আঁচ করতে পারেনি।
তবে অষ্টমীর রাত থেকেই অবশ্য কলকাতা এবং সংলগ্ন জেলাগুলিতে মেঘগর্জনের সঙ্গে কিছুক্ষণের বৃষ্টির জেরে বোঝা গিয়েছিল যে বিপত্তি আসছে। অষ্টমীর গভীর রাত থেকে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া, ভাতার, মঙ্গলকোট এলাকায় শুরু বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত। নবমীর সকাল পর্যন্ত অবিরাম বৃষ্টি চলে। দুপুর নাগাদ একটু রোদ উঠে ঠিকই। কিন্তু ফের আকাশে দেখা দেয় কালো মেঘ, এর সঙ্গে তো মেঘের গর্জন রয়েইছে।
দুপুর আরও গড়ালে কালনায় শুরু হয় বৃষ্টিপাত। পূর্বস্থলী, মন্তেশ্বর এলাকায় মেঘলা আকাশ। তবে এই দুই এলাকায় বুধবার গভীর রাতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত হয়। এই একই পরিস্থিতি মুর্শিদাবাদ, বীরভূমেও। কান্দির বিভিন্ন জায়গাতেও আকাশ কালো করে বৃষ্টি শুরু হয়। এর জেরে পুজোর আনন্দের তাল কেটেছে। মণ্ডপমুখী দর্শনার্থীর গতি হঠাৎই থমকে যায়। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আজ দিনভর এভাবেই বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
দশমীর দিনও দক্ষিণবঙ্গের নানান জায়গায় এমনই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। বৃষ্টির মধ্যেই মা দুর্গা বিদায় নেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু পুজোর শেষ লগ্নে এসে এমন বৃষ্টিতে সব মাটি হতে দিতে নারাজ বঙ্গবাসী।