নির্বাচনে বেহিসাবি খরচ নয়! বঙ্গ বিজেপি নেতাদের সতর্ক করে কড়া নির্দেশ পাঠালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্
একদিকে করোনা আতঙ্ক অন্যদিকে ভোট আতঙ্ক দুইয়ে মিলিয়ে জর্জরিত বাংলা। বিজেপি তৃণমূল তরজা তো লেগেই আছে। কে শাসনে আসছে পদ্ম না ঘাস ফুল উত্তর মিলবে ২রা মে।
তবে বিজেপির দাবি বাংলায় ২৯৪ আসনের মধ্যে ২০০ আসন নিয়ে সরকার গড়বে বিজেপি। সোনার বাংলা গড়ে তোলা হবে। এই কথা প্রধানমন্ত্রী থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সবার মুখেই। এই দাবির সঙ্গেই বাংলায় বিজেপির প্রচারে এবার বেলাগাম হয়েছে খরচও বলে অভিযোগ। তাই বিজেপি প্রার্থীদের খরচে লাগাম টানতে কড়া বার্তা এল খোদ অমিত শাহ্’র কাছ থেকে। আর তাতেই দলের অন্দরে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কারণ প্রার্থীদের খরচ নিয়ন্ত্রণে দলের রাজ্য নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন অমিত শাহ্। এমনকী দলের দেওয়া টাকা প্রার্থীরা কে, কতটা, কীভাবে খরচ করছেন তার হিসেবও চেয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন- ফের করোনার জেড়ে রাজ্য জুড়ে বন্ধ হতে চলেছে স্কুল
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হঠাৎ এই নির্দেশে বেশ চর্চা শুরু হয়েছে বঙ্গ–বিজেপির নেতাদের মধ্যে। অনেক প্রার্থীই অযথা খরচ করছেন এবং করেছেন বলে রিপোর্ট ইতিমধ্যেই পৌঁছেছে বিজেপির চাণক্যের কাছে। ব্যতিক্রমও আছে বেশ কিছু। অনেকে দলের দেওয়া টাকা প্রচারে পুরোটা খরচ না করেই নিজের জন্য রেখে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ, নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া নিয়মের বাইরে খরচ একদমই নয় এবং অর্থের অপচয় না হয়। প্রার্থীরা যাতে নিয়ম ভেঙে নগদে লেনদেন না করেন তা দেখতে বলা হয়েছে। কোনওরকম অভিযোগ যাতে না ওঠে তার জন্যই এই নির্দেশ বলে বিজেপি সূত্রে খবর।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন যে রাস্তা গাড়িতে যাওয়া যায় সেখানে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা যাবে না। হেলিকপ্টার নিলেও এমন জায়গায় নামতে হবে যাতে গাড়িতে করেই বাকি কর্মসূচি সেড়ে ফেলা যায়।
আরও পড়ুন- ভোটপ্রচারে ‘বহিরাগত’-দের নিয়ন্ত্রণ করতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করে চিঠি মুখ্যমন্ত্রী’র
২১শের হাইভোল্টেজ নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রথম থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে ‘অর্থবল’–এর অভিযোগ তুলেছে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘বিজেপি টাকা ছড়াচ্ছে’ বলে অভিযোগ তুলেছেন। প্রকাশ্য জনসভা থেকে জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। আর তৃণমূল কংগ্রেস যাতে কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ তুলতে না পারে সে কথা দলের নেতাদের জানিয়ে অমিত সতর্ক করেছেন। এই বিষয়ে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘হিসেব নিয়ে আলাদা করে সতর্ক করা বা হওয়ার কিছু নেই। বিজেপি সব সময়েই আর্থিক স্বচ্ছতাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়। রাজ্য সেই মতোই খরচ হচ্ছে।’