রাজ্য

‘আমি আমার মনের মানুষের সঙ্গেই ঘর ছেড়েছি, তুমি আবার বিয়ে করো’, স্বামীর বন্ধুর হাত ধরেই ঘর ছেড়ে পালালেন গৃহবধূ

সকাল থেকে সন্ধ্যে গড়িয়ে যায় কিন্তু স্ত্রী ঘরে ফেরেন না। চারিদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন স্বামী। অবশেষে সন্ধ্যের দিকে একটা ফোন। হ্যাঁ, তাঁর স্ত্রীরই ফোন। কিন্তু ফোনটা ধরতেই যেন থমকে গেলেন স্বামী। জানতে পারেন, তাঁরই এক বন্ধুর সঙ্গে পালিয়েছেন তাঁর স্ত্রী আর সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন তাদের আড়াই বছরের মেয়েকেও। স্ত্রী ফোনে জানান, “থানা পুলিশের কোনও দরকার নেই। আমি আমার মনের মানুষের সঙ্গে ঘর ছেড়েছি। তুমি অন্য মেয়ে দেখে বিয়ে করো”।

ঘটনাটি ঘটেছে তমলুকের ময়না থানা এলাকার মিরিকপুর গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে খবর, দক্ষিণ ময়না গ্রামে ওই মহিলার বাপের বাড়ি। বছর চারেক আগে ওই যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। যুবক হুগলির রিষড়ার বাসিন্দা। সেখানেই একটি চটকলে কাজ করেন তিনি। সেখানেই তাঁর গ্রামের এক বন্ধুও কাজ করতেন। মাঝেমধ্যেই ওই বন্ধু যুবকের বাড়িতে যাতায়াত করতেন।

সেই সূত্রেই ওই বন্ধুর সঙ্গে যুবকের স্ত্রী’র ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। ধীরে ধীরে সম্পর্ক আরও গভীর হলে গোপনে বাড়ি ছাড়ার ছক কষে তারা। সেই অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার আড়াই বছরের মেয়েকে নিয়ে নিজের বাপের বাড়িতে যান ওই মহিলা। পরদিন অর্থাৎ শুক্রবার মেয়েকে ডাক্তার দেখানোর নাম করে বাড়ি থেকে বের হন মহিলা।

ব্যস, তারপর থেকে খোঁজ মেলেনি মহিলার। এভাবে বাড়ির মেয়ের উধাও হয়ে যাওয়া নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় ছিল তাঁর পরিবার। মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে খবর দেন তারা। সেদিন সন্ধ্যেবেলা ওই মহিলা স্বামীকে ফোন করে বলেন, “আমাকে খোঁজার কোনও দরকার নেই। আমি মনের মানুষের কাছে চলে এসেছি। ওঁর সঙ্গেই ঘর ছেড়েছি। হায়দরাবাদে গিয়ে নতুন সংসার পাতব”।

তবে ফোন পাওয়ার পরও মহিলা স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন চারদিকে খোঁজাখুঁজি চালায়। কিন্তু না পেয়ে শেষমেশ শনিবার সকালে ময়না থানায় মহিলার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। সেই সময় মহিলা ফের স্বামীকে ফোন করে জানান যে পুলিশে খবর দেওয়ার কোনও দরকার নেই। তিনি আর ফিরবেন না। স্বামীকে অন্যত্র বিয়ে করার কথা বলেন তিনি।

এই ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, “বৌমার মুখে এমন কথা শুনে থানার ভিতরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন মহিলার শ্বশুর। কারণ, বৌমা তো একা যাননি। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন তাঁর আড়াই বছরের মেয়েকেও। এদিকে দাদু নাতনি অন্ত প্রাণ। নাতনির শোকে পড়ায় খাওয়াদাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছেন ওই প্রৌঢ়”।

তবে এদিকে ময়না থানার পুলিশ জানিয়েছে যে ওই মহিলা ও তাঁর মেয়ের খোঁজ করছে তারা। তাদের খুঁজে বের করা হবে তাড়াতাড়ি। এর পাশাপাশি যে যুবকের সঙ্গে মহিলা ঘর ছেড়েছেন, তারও তল্লাশি করছে পুলিশ।

Related Articles

Back to top button