নুন আনতে পান্তা ফুরত সংসারে, ১৫০ টাকার লটারির টিকিটে রাতারাতি বদলে গেল জীবন, কোটি টাকার মালিক হলেন বাংলার গৃহবধূ

সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরত। আর্থিক অনটনে কোনওরকমে টেনেটুনে চলছিল সংসার। কিন্তু এক রাতেই আমূল পরিবর্তন এল জীবনে। ১৫০ টাকার লটারির টিকিট জীবনটাই বদলে দিল গৃহবধূর। তবে এই লটারির টিকিট কেনার নেশা নিয়ে নিত্য ঝামেলা লেগেই থাকত তাঁর স্বামীর সঙ্গে। কিন্তু সেই লটারির টিকিটই তাদের ভাগ্য খুলে দিল।
গৌরী বিস্তার। মুর্শিদাবাদের কান্দি শহরের তারামাতলা এলাকার বাসিন্দা তিনি। স্থানীয় মনসা মন্দিরে পুজো করেন গৌরী। আর তাঁর স্বামী বাজারে ডাব বিক্রি করেন। দু’জনের যা রোজকার তাতে সংসারে আর্থিক অভাব লেগেই থাকত। আর এদিকে গৌরীদেবীর নেশা ছিল লটারির টিকিট কেনার। তাই তিনি যা উপার্জন করতেন, সবটাই চলে যেত লটারির টিকিট কেনার পেছনে।
এই লটারির টিকিট কেনা নিয়ে সংসারেও লেগে থাকত অশান্তি। তাঁর স্বামী বা সন্তান কেউই গৌরীদেবীর এই নেশা পছন্দ করতেন না। ফলে নিত্যদিন সংসারে ঝামেলা চলত। কিন্তু লটারির টিকিটের নেশা ছাড়তে পারেন নি গৌরীদেবী। ভাগ্যিস ছাড়েন নি, নাহলে কী আর এত বড় একটা ঘটনা ঘটত তাঁর জীবনে।
গত বৃহস্পতিবার মন্দিরে পুজো সেরে ১৫০ টাকা দিয়ে একটি লটারির টিকিট কেনেন গৌরীদেবী। রাত দশটা নাগাদ একটি ফোন আসে তাঁর কাছে। জানানো হয় যে তিনি লটারিতে এক কোটি টাকা জিতেছেন। একথা যেন প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না গৌরীদেবী। পরে মোবাইলে টিকিট নম্বর মিলিয়ে দেখতেই সবটা পরিষ্কার হয়ে গেল তাঁর কাছে। কোটি টাকা জিতে আনন্দে আত্মহারা গৌরীদেবী।
এই বিষয়ে গৌরী বিস্তার জানানই, “আমি বহুদিন ধরে স্বপ্ন দেখতাম লটারিতে প্রচুর টাকা পেয়েছি। কিন্তু বাস্তবে সেই স্বপ্ন পূরণ হবে ভাবিনি। এই টাকা দিয়ে ধারদেনা সব শোধ করব। পাকা ঘর করব। ছেলে মেয়েদের বিয়ে দেব। কিছু টাকা দেব মনসার মন্দিরে। আর স্বামীকে আর নারকেল গাছে উঠতে দেব না”।