ফেসবুকে পরিচয় হওয়া যুবকের সঙ্গে গভীর রাত পর্যন্ত মেসেজে কথা, প্রেমের টানে স্বামী, ছেলেমেয়ে ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালালেন রিষড়ার গৃহবধূ
ফের আর এক গৃহবধূ পালালেন প্রেমিকের সঙ্গে। স্বামী-সন্তানদের ছেড়ে ফেসবুকে আলাপ হওয়া যুবকের সঙ্গেই ঘর ছেড়েছেন রিষড়ার গৃহবধূ কবিতা, এমনটাই ধারণা পুলিশের। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে যে নিখোঁজ হওয়ার দিন দুই যুবকের সঙ্গে রিষড়া থেকে পালান ওই গৃহবধূ।
জানা গিয়েছে, গত ১২ই জানুয়ারি রিষড়ার মোড় পুকুরের আদর্শ নগর এলাকার বাসিন্দা ধর্মেন্দ্র সিংইয়ের স্ত্রী কবিতা সিং নিখোঁজ হয়ে যান। স্বামী ধর্মেন্দ্র সিং তাঁকে বারবার ফোন করলে ফোন সুইচ অফ বলে। নানান জায়গায় স্ত্রীকে খুঁজে তাঁকে না খুঁজে পেয়ে শেষমেশ হয়রান বলে বাড়ি ফেরেন ধর্মেন্দ্র।
এরপরও কোথাও স্ত্রীর খোঁজ না পেয়ে গত ১৪ই জানুয়ারি তিনি রিষড়া থানায় নিজের স্ত্রীর নামে নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেন। ধর্মেন্দ্র পুলিশকে জানান যে গত বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর স্ত্রী গভীর রাত পর্যন্ত কারোর সঙ্গে ফেসবুকে কথা বলতেন। কিন্তু অভিযোগ দায়ের করার সাতদিন পরও কোনও খোঁজ মেলেনি ওই গৃহবধূর।
তবে, রিষড়া পুরসভার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে কিছু তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে যে ১২ জানুয়ারি সকাল নটা নাগাদ একটি অ্যাপ ক্যাব রিষড়ায় এসেছিল। সেই গাড়ির নম্বর দেখে অ্যাপ ক্যাব মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ।
সেই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে দুই যুবক ওলা নিয়ে রিষড়া আসেন। রিষড়ায় এক মহিলাকে গাড়িতে তুলে তাঁরা খড়্গপুর চলে যান। পুলিশের অনুমান ওই দুই যুবকের সঙ্গে সম্ভবত গুজরাতে চলে গিয়েছেন গৃহবধূ কবিতা। পুলিশের অনুমান, আগামী দু’এক দিনের মধ্যেই তাঁর খোঁজ পাওয়া যেতে পারে।
কবিতার স্বামী ধর্মেন্দ্র জানান যে তাঁর স্ত্রীর কাছে একটিই ফোন নম্বর ছিল। তবে পুলিশের ধারণা, কবিতা অন্য আরেকটি নম্বরও ব্যবহার করতেন। সেই নম্বর থেকেই তিনি প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন।
ধর্মেন্দ্র জানান যে পনেরো বছর আগে কবিতাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তিনি। মাঝে একবার এক যুবকের সঙ্গে মেলামেশার ফলে তাদের মধ্যে অশান্তিও হয়েছিল। ধর্মেন্দ্র জানান যে তাদের তেরো বছরের একটি ছেলে ও ছয় বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। ধর্মেন্দ্রর আবেদন পুলিশ যাতে তাঁর স্ত্রীকে ফিরিয়ে দেন। তাঁর সন্তানরা তাদের মায়ের অপেক্ষা করছে। তাঁর দাবী, কারোর ফাঁদে পা দিয়েই কবিতা বাড়ি ছেড়েছেন।