চাকরির তো খোঁজখবর নেই, শুধুমাত্র তৃণমূল করেই মাসে এত টাকা আয় করেন বছর ২৪-এর দেবাংশু

তাঁর নানান গান বা কবিতা, সে ‘মমতাদি আরেকবার’ই হোক বা ‘খেলা হবে’, সবটাই ট্রেন্ডে থেকেছে বারবার। তিনি বাংলার রাজনীতির অন্যতম নেতাও বটে। তবে ফেসবুক, ইউটিউবারেও তিনি বেশ জনপ্রিয়। হ্যাঁ কথা হচ্ছে তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যকে নিয়ে।
তাঁর ফেসবুক লাইভ দেখতে মানুষজন ভিড় জমালেও, তাঁর নিন্দুকেও সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। নেটপাড়ায় মাঝেমধ্যেই তুফান তুলতে তিনি সিদ্ধহস্ত। সরকারের সম্বন্ধে কোনও খারাপ মন্তব্য যদি কেউ করেন, তাহলে তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতেও কসুর করেন না দেবাংশু। হবে নাই বা কেন, পোস্টের রিচ বাড়াতে হবে যে। তবেই তো সোশ্যাল মিডিয়া থেকে উপার্জন করতে পারবেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে রোজগার করা এখন ওয়াই জেনারেশনের একটা ট্রেন্ড বলা যেতে পারে। ফেসবুক বা ইউটিউবে কনটেন্ট ক্রিয়েটাররা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে উপার্জন করেন। সেক্ষেত্রে সেখানে মনিটাইজেশন অপশন রয়েছে। অর্থাৎ প্রত্যেক পোস্ট, ভিডিও বা লাইভ থেকে টাকা রোজগারের পথ থাকে। দেবাংশুও তেমনই নিজের নানা পোস্ট থেকে উপার্জন করেন। এক্ষেত্রে রিচ একটা বড় ফ্যাক্টর।
দেবাংশুর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, তিনি ফেসবুক থেকে প্রতি মাসে গড়ে ৩০ হাজার টাকা উপার্জন করেন। ভোট চলাকালীন তা বেড়ে যায় বই কি! এছাড়াও নানান রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে তিনি যখন ফেসবুকে ঝড় তোলেন, সেই সময়ও তাঁর রোজগার বেশ বৃদ্ধি পায়। তবে এই সবটাই কিন্তু তৃণমূল নেতা হওয়ার দৌলতে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, কোনও কোনও মাসে দেবাংশু ফেসবুক থেকে ৭৫-৮০ হাজার টাকা রোজগার করেন। আবার কোনও মাসে তা গিয়ে ঠেকে ১৮-২০ হাজারে। সবটাই নির্ভর করে ফেসবুকের গতিপ্রকৃতি ও কনটেন্টের সমানুপাতের উপর। জানা গিয়েছে, নিজের আয়ের অনেকটাই দেবাংশু চ্যারিটি খাতে ব্যয় করেন। এমনিতেও রাজ্যে চাকরির যা পরিস্থিতি তাতে তৃণমূলের হাত ধরে যদি রোজগারের পথ থাকে, তাহলে ক্ষতি কী!
ফেসবুকে এই মুহূর্তে দেবাংশুর ফলোয়ার প্রায় ১০ লক্ষ। রয়েছে ব্লু টিকও। এই ফ্যাক্টরগুলি কিন্তু আয়ের পথ প্রসারিত করে। তবে ইউটিউবে লাখখানেক ফলোয়ার থাকলেও এতদিন সেখানে Monetization অন করেননি দেবাংশু। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই অপশনটি অন করেছেন তিনি। ফলত আগামীদিনে ইউটিউব থেকেও তিনি যে ভালোই রোজগার করতে চলেছেন, তা ধারণা করা যেতেই পারে।