মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বীরভূম থেকে উদ্ধার ২০০ বোমা, রাজ্যের একাধিক প্রান্তেও বাজেয়াপ্ত শতাধিক বোমা
রামপুরহাটের বাগটুই গ্রামে গণহত্যাকাণ্ডের পর নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। গতকাল, বৃহস্পতিবার সেই গ্রামে গিয়ে পুলিশকে কড়া ভাষায় কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ যাতে নিজের কাজ ঠিকমতো করে, সে কড়া নির্দেশ দেন তিনি। বগটুই হত্যাকাণ্ডের তদন্তের পাশাপাশি মমতা এও নির্দেশ দেন যাতে রাজ্যের নানান জায়গায় বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের দিকে নজর দেয় পুলিশ।
সেই নির্দেশের পরই তৎপর হয় পুলিশ। গোটা রাজ্যে শুরু হয় বেআইনি অস্ত্রের তল্লাশি। এমন পরিস্থিতিতে আজ, শুক্রবার সকালে কেশপুর থেকে বিপুল পরিমাণ বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, সেই বোমা জঙ্গলের মধ্যে ফেলে রাখা হয়েছিল। কিছু বোমা আবার নর্দমার জলে ফেলে নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টাও করা হয়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, কেশপুর থানার ধলহারা ১৩ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের হুরুলুলুর ডাঙা থেকে পুলিশ চার বালতি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, চারটি বালতিতে প্রায় ১০০টি বোমা চারটি বালতিতে রাখা ছিল। স্থানীয়রা জঙ্গলের মধ্যে কয়েকটি বালতি দেখতে পান। দেখা যায়, তাতে বোমা রয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে উদ্ধার করে বোমাগুলি। তবে কে নবা কারা এই বোমা জঙ্গলে রেখেছিল, তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।
শুধু কেশপুরেই নয়, বীরভূমেও আজ তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। বীরভূমের মাড়গ্রাম থানার ডাঙাল গ্রামে মিলেছে বোমা। জানা গিয়েছে, এখান থেকে প্রায় ২০০টি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। ছ’টি ব্যারেলে রাখা ছিল এই বোমাগুলি।
বলে রাখি, গতকাল, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বগটুই গ্রামে গিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি নির্দেশ দেন যাতে রাজ্যের সমস্ত জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে বেআইনি অস্ত্র ও বোমা উদ্ধার করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের ২৪ ঘণ্টাও কাটে নি, তার আগেই রাজ্যের নানান জায়গা থেকে উদ্ধার হল শ’য়ে শ’য়ে বোমা।