রাজ্য

ভয়ানক! স্ত্রী সরকারি চাকরি পাওয়ায় তাঁর ডানহাতের কব্জি কেটে বাদ দিয়ে দিল স্বামী, তুমুল শোরগোল কেতুগ্রামে

স্ত্রী সরকারি চাকরি পেয়েছেন, স্বাবলম্বী হয়েছেন। এবার যদি তাকে ছেড়ে স্ত্রী চলে যান, সেই আশঙ্কায় স্ত্রীয়ের ডানহাতের কব্জি কেটে দিল স্বামী। এই ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই মহিলা। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও অভিযুক্ত স্বামী পলাতক। এই ঘটনার সময় স্বামী মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন নাকি তাঁর কোনও মানসিক সমস্যা রয়েছে, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

সূত্রের খবর, অভিযুক্ত স্বামীর শের মহম্মদ শেখ। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বাসিন্দা শের মহম্মদ শেখের স্ত্রী রেণু খাতুন সম্প্রতি সরকারি হাসপাতালে নার্সের চাকরি পেয়েছেন। এর জেরেই শের মহম্মদ স্ত্রীর ডান হাতের কব্জি কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক শের মহম্মদ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় কেতুগ্রাম থানায় শের মহম্মদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু শের মহম্মদ-সহ অভিযুক্ত সকলে বর্তমানে পলাতক। তাঁর খোঁজ চলছে।

স্থানীয় সূত্রের খবর, শের মহম্মদ কার্যত বেকার, কোনও রোজগার নেই তাঁর। এরই মধ্যে তাঁর স্ত্রী রেণু খাতুন সরকারি হাসপাতালে নার্সের চাকরি পান। এরপর থেকেই হীনমন্যতায় ভুগছিলেন শের মহম্মদ। আশঙ্কা করছিলেন স্ত্রী হয়ত তাঁকে ছেড়ে চলে যাবেন। আর সেই আশঙ্কা থেকেই বন্ধুদের সঙ্গে পরিকল্পনা করে স্ত্রীকে পঙ্গু করার জন্য হাতের কব্জি কেটে দেওয়ার ভাবনা আসে তার।

এরপর গত শনিবার রাতে রেণু খাতুন ঘুমোনোর সময়ই শের মহম্মদ ও তার বন্ধুরা মিলে ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁর ডান হাতের কব্জি কেটে নেয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে রেণু খাতুনের চিৎকার যাতে কারোর কানে না পৌঁছয়, সেজন্য শের মহম্মদ তাঁর মুখে বালিশ চেপে ধরেছিল বলেও অভিযোগ। ঘটনার পরই বাড়ি ছেড়ে পালায় শের মহম্মদ।

এরপরই রেণুর আর্তনাদে জড়ো হয় প্রতিবেশীরা। তারাই রেণুকে উদ্ধার করে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে নিয়ে যান। রেণু খাতুনের ডানহাতের কব্জি পুরোটা কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে। তা আদৌ জোড়া দেওয়া সম্ভব কী না, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন চিকিৎসকরা।

শের মহম্মদের এমন আচরণে তার মানসিক সুস্থতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সে তার স্ত্রীর উপর অত্যাচার চালাত কী না, বা ঘটনার সময় সে মদ্যপ ছিল কী না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

debangon chakraborty

Related Articles

Back to top button