West Bengal

তৃণমূলে যোগ দিলেন চন্দননগরের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির! বরাবরই শাসক দলের হয়ে কাজ করতেন, কটাক্ষ লকেটের

বিজ্ঞাপন
২৯শে জানুয়ারি চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট-এর পদ থেকে ইস্তফা দেন ২০০৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে যোগদান করা আইপিএস অফিসার হুমায়ুন কবির। তাঁর পরিবর্ত হিসেবে ১লা ফেব্রুয়ারি চন্দননগর কমিশনারেটের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন গৌরব শর্মা।

বিজ্ঞাপন

হুমায়ূন কবিরের চাকরির মেয়াদ ছিল চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত। কিন্তু তার আগেই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ইস্তফা দেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

সূত্র মারফত তখনই খবর মিলেছিল বিধানসভা ভোটের আগেই রাজ্য রাজনীতিতে যোগদান করতে পারেন এই আইপিএস অফিসার। আর এবার সেই আশঙ্কাই সত্যি করে তৃণমূলে যোগদান করলেন হুমায়ুন।

বিজ্ঞাপন

আজ কালনায় মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় শাসকদলে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন তিনি। এবার বিধানসভা নির্বাচনে হুমায়ুন কবীরকে প্রার্থী করা হবে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।

বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মাস তিনেক আগে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের হাত ধরে রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন হুমায়ুন কবীরের স্ত্রী অনিন্দিতা দাস কবির।
অন্যদিকে চন্দননগরের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার তৃণমূলে যোগ দিতেই তাঁকে কটাক্ষ করেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি। তোপ দাগেন, “আমাদের প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল। যখন তেলেনিপাড়ায় হিংসার ঘটনা ঘটে, তখন আমি ও অর্জুনদা বার বার ঢোকার চেষ্টা করেছিলাম। উনি ঢুকতে দেননি। হিংসার ঘটনায় উনি ইন্ধন জুগিয়েছেন। উনি বরাবরই তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছেন। আমরা বার বার বলেছি, প্রশাসনের ৫০ শতাংশ-ই তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। আমরা সংসদে বলেছি। নির্বাচন কমিশনে বলেছি। আর সেই জন্যই আমরা দাবি করেছি, তৃণমূলের হয়ে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের যেন নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রাখা হয়। মে মাসে আমরা ক্ষমতায় আসার পর এদের সবার জবাব দেব।”
পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বিশেষ পছন্দের ব্যক্তি ছিলেন হুমায়ুন কবির ‌। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন থেকে কুখ্যাত “হাত কাটা দিলীপ”কে গ্রেফতার করে প্রশাসনিক মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হন তিনি। তবে সে সময় যে সব পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব আচরণের অভিযোগ তুলত তৃণমূল, তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন এই আইপিএস। কিন্তু রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পর ছবিটা পাল্টে যায়। ক্রমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন তিনি।
হুমায়ুন যখন মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করতেন অধীর চৌধুরী। তৃণমূলের জেলা সভাপতির মতো আচরণ করছেন এই পুলিশ অফিসার, এমন অভিযোগ করেছিলেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ। পরে হুমায়ুন কবীরকে চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার করে নিয়ে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
Back to top button

Discover more from Khabor24x7

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading