রাজ্য

ধর্মতলায় ডিএ-র দাবী নিয়ে আন্দোলনের মঞ্চে নওশাদ সিদ্দিকি, আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে শুরু করলেন অনশনও

এবার ডিএ আন্দোলনকারীদের (DA protesters) পাশে দাঁড়ালেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি (Nawshad Siddiqi)। আজ, শনিবার ভোর ৬টা নাগাদ ধর্মতলায় ডিএ আন্দোলনকারীদের মঞ্চে পৌঁছন তিনি। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে অনশন শুরু করেছেন তিনিও। সরকারের উদ্দেশে তাঁর হুঁশিয়ারি, ডিএ না দিলে এই অনশন চলবে। একদিকে যখন রাজ্য সরকারের (state government) তরফে ডিএ নিয়ে বারবার কড়া বার্তা দেওয়া হচ্ছে, সেই সময় দাঁড়িয়ে নওশাদের এই আন্দোলন মঞ্চে যোগ দেওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হবে, এই দাবী নিয়েই ধর্মতলায় প্রথমে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। আর পরবর্তীতে সেই আন্দোলন আরও জোরদার হয়। তারা অনশন শুরু করেন। তা ৫০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে।

আর আজ, শনিবার সেই অনশন মঞ্চেই যোগ দিতে দেখা গেল সদ্য জামিন পাওয়া ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে। সেই মঞ্চ থেকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি সাফ জানান, “ডিএ যদি না পাওয়া যায়, তাহলে এই আন্দোলন আরও ছড়িয়ে পড়বে। সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে”।

আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে নওশাদ বলেন যে তিনি স্থির করেছিলেন এ একদিন ডিএ আন্দোলনকারীদের অনশন মঞ্চে তিনি যোগ দেবেন। সেই অনুযায়ীই আজ, শনিবার সেখানে পৌঁছন তিনি। এদিন সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নির্জলা উপবাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে আবার আজ থেকে ডিএ আন্দোলনকারীদের প্রতিবাদের আঁচ আরও তীব্র হচ্ছে। এবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘ডিজিটাল অসহযোগিতা’। আন্দোলনকারীদের কথায়, অনেক সরকারি কর্মচারীদেরই অফিসের সময় বাদেও কাজ করতে হয়। মিড ডে মিলের খতিয়ান জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের বাড়িতে বসে কাজ করতে হয়।

কিন্তু আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এই কাজের জন্য তাদের বাড়িতে কম্পিউটার বা ইন্টারনেট কানেকশনের বন্দোবস্ত করা তো দূর, তাদের নিজেদের ফোনে নিজেদের ইন্টারনেট ডেটা খরচ করে সেই কাজ করতে হয়। তবে এবার তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে এবার থেকে তারা তেমনটা আর করবেন না। এমনকি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার অনুরোধও করা হয়েছে আন্দোলনকারীদের তরফে।

debangon chakraborty

Related Articles

Back to top button