‘মমতা সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যান’, বিজেপির নবান্ন অভিযান নিয়ে বাহবা দিয়ে সুকান্তকে অভিনন্দন জানালেন নাড্ডা

গতকাল, ১৩ই সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযানকে (Nabanna Abhiyan) ঘিরে হাওড়া ও কলকাতার একাংশ কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। এই অভিযানের পর বিজেপির দাবী, শাসক দল ভয় পেয়েছে। এই অভিযানকে ঘিরে এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) ফোন করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J P Nadda)।
বিজেপির নবান্ন অভিযান যে শাসক দলকে একটু হলেও ভীত করেছে, তা বেশ স্পষ্ট। মুখে স্বীকার না করলেও, তা একটু হলেও সত্যি। বিজেপির এই অভিযানের দিন শহরে ছিলেন না খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অভিযান নিয়ে সুকান্তকে ফোন করে বাহবা জানালেন জেপি নাড্ডা। রাজ্য সভাপতিকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, “মমতা সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যান”।
গতকাল, মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযানে রাজ্যের নানান প্রান্ত থেকে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থক। পূর্ব পরিকল্পনা মতোই তিনদিক থেকে বের হয় মিছিল। মিছিলের নেতৃত্ব দেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররা। এই অভিযানকে সফল করতে রাস্তায় নামেন নানা জেলা থেকে আগত বিজেপি কর্মীরা।
এই অভিযানকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাওড়া-কলকাতার একাংশ। মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ।, রাস্তা খুঁড়ে গার্ডরেল বসিয়ে মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। এর জেরে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়ান বিজেপি নেতা-কর্মীরা। এদিন পুলিশ সর্বশক্তি দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করে বিজেপিকে। ছোঁড়া হয় জলকামান, কাঁদানে গ্যাসের শেল। গ্রেফতার হন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, লকেট চট্টোপাধ্যায়-সহ আরও অনেক বিজেপি কর্মীরাও।
এদিন এই অভিযান নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সুকান্ত মজুমদার বলেন যে তাদের এই কর্মসূচিতে শাসক দল ভয় পেয়েছে। সুকান্ত মজুমদার বিজেপির রাজ্য সভাপতি হওয়ার বর্ষপূর্তি রয়েছে সামনেই। তার আগে শাসক দলের বিরুদ্ধে কোনও বড় পদক্ষেপ করে নিজেকে প্রমাণ করার দরকারও ছিল তাঁর। এই অভিযান কতটা সফল, তা জানা না গেলেও, এর জন্য দিল্লি থেকে শুভেচ্ছা বার্তা পেয়েছেন সুকান্ত।