West Bengal

রাজ্যবাসীর জন্য বিরাট চমক বিজেপির! মালদায় সভা থেকে জে পি নাড্ডা দিলেন সুসংবাদ

বিজ্ঞাপন

আজ, শনিবার মালদার সাহাপুরে কৃষকদের উদ্দেশ্যে সভা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। এদিন সভায় দাঁড়িয়ে বাংলার মানুষের জন্য সুখবর দিলেন তিনি। রাজ্যে হাইওয়ে ও শিক্ষাব্যবস্থার জন্য যে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, তা রাজ্যবাসীকে জানান তিনি। এছাড়াও, ফের একবার মমতা সরকারকে সভা থেকে সরাসরি দাগেন কেন্দ্রীয় নেতা

বিজ্ঞাপন

শনিবার কলকাতা বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে মালদা পৌঁছন নাড্ডা। এখানে ছিল তাঁর একগুচ্ছ কর্মসূচী। এরপর সেখান থেকে যান মাঙ্গো রিসার্চ ইনস্টিটিউটে। সেখানে গবেষক ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এরপর সাহাপুরের সভায় নিজের বক্তব্য রাখেন। বলেন, “বাংলায় হাইওয়ে তৈরির জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হবে”। বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা উন্নতির জন্য নাবার্ডের তরফ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলেও জানান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।

বিজ্ঞাপন

এরপর সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তাঁর বক্তব্য, “৩৫ লক্ষ কৃষক সুরক্ষা অভিযানে যুক্ত, ৩৩ হাজার গ্রামে আমরা পৌঁছেছি। রাজ্যে মমতাদি অন্যায় করছেন। মোদীজি ৬ হাজার টাকা করে কৃষি সম্মান নিধি হিসেবে দিলেও, শুধুমাত্র জেদের বশে তা মমতাদি নেননি। বাংলার ৭০ লক্ষ কৃষক বঞ্চিত হয়েছেন। ভোট এসে গিয়েছে, এখন আর আফসোস করে লাভ নেই”। এরপর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে তিনি বলেন যে সব জায়গায় ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি শুনছেন তিনি, এতে মমতাদির রাগ কেন হচ্ছে?

বিজ্ঞাপন

এদিন সাহাপুরে সভা শেষ করে কৃষকদের সঙ্গে একই পঙক্তিতে বসে খিচুড়ি খেয়ে ভোজন সারলেন নাড্ডা। এরপর মালদার ফোয়ারা মোড় থেকে শুরু হয় তাঁর রোড শো। রবীন্দ্র অ্যাভিনিউতে শেষ হবে তাঁর পদযাত্রা। রোড শো শেষ করে নাড্ডা যাবেন নবদ্বীপ। সেখান থেকেই শুরু হবে বিজেপির পরিবর্তন যাত্রা।

বিজ্ঞাপন

এদিন সফরের আগেই মালদাতে ছিঁড়ে ফেলা হয় নাড্ডার ফ্লেক্স, কাট-আউট। এর পরিবর্তে লাগানো হয় তৃণমূলের পোস্টার। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলা হয়েছে যে বিজেপি রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব লাগাতে চাইছে। তাই নিজেরাই নিজেদের ফ্লেক্স ছিঁড়ে তৃণমূলের পোস্টার লাগিয়ে তৃণমূলের উপর দোষ চাপাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
Back to top button

Discover more from Khabor24x7

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading