‘ব্যবসায়ীর বাড়িতে নগদ থাকবে না? সবটাই শ্রমিক আর কৃষকদের টাকা’, কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের পর সাফাই জাকির হোসেনের

তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের (Jakir Hossain) বাড়ি ও কারখানা থেকে আজ, বৃহস্পতিবার সকালেই ১৫ কোটি টাকারও বেশি উদ্ধার করেছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা (income tax officers)। সেই ঘটনা নিয়ে গোটা রাজ্যে তুমুল শোরগোল। এই ঘটনায় এবার সাফাই দিয়ে সাংবাদিকদের জাকির হোসেন বলেন, “আমি একজন ব্যবসায়ী। প্রতি সপ্তাহে শ্রমিকদের টাকা মেটাতে হয়। তাই নগদ রাখতে হয়”।
টাকা উদ্ধারের ঘটনায় জাকির হোসেনের দাবী, “ব্যবসায়ীর কাছে নগদ থাকবে না? তাহলে তো ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে। আমার ২টি বিড়ি কারখানায় ৭ হাজার কর্মী কাজ করেন। তাদের প্রতি সপ্তাহে নগদে বেতন দিতে হয়। তাছাড়া বিড়ির মশলা কিনতে হয় নগদে। এছাড়া আমার তেলকল ও চালকল রয়েছে। সেখানেও নগদে শস্য কিনতে হয়”।
বিধায়কের কথায়, “আমার জমিতে চাষের কাজ করেন অনেকে। তাদের পাওনাও নগদে মেটাই। এবার তো তাদের টাকা দিতে পারব না। সেই চাষিরা আবার না বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন”।
জাকির হোসেন আরও দাবী করে, “আমি কর দিয়ে ব্যবসা করি। মুর্শিদাবাদের সর্বোচ্চ করদাতা আমি। তার পরেও আমার বাড়ি ও কারখানায় আয়কর হানা হল। আমাকে আগে থেকে কিছু জানানো হল না। তবে আয়কর আধিকারিকরা লিখে দিয়েছেন যে আমি তদন্তে সহযোগিতা করেছি। এবার দেখি আদালত কী বলে”।
প্রসঙ্গত, গতকাল, বুধবার বেলার দিকে জাকির হোসেনের বাড়ি ও বিড়ি কারাখানায় হানা দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাশি চালিয়ে বাড়ি ও কারখানা থেকে উদ্ধার হয় ১৫ কোটি টাকারও বেশি। জাকির হোসেনের বাড়ি থেকেই মেলে ১ কোটি টাকা। এই ঘটনায় ফের একবার তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিরোধী শিবির। অন্যদিকে তৃণমূল সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে এটা আয়করের সঙ্গে জাকিরের ব্যাপার। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।