রাজ্য

হেরে গেল তৃণমূল, বড় জিত পেল বিজেপি, ঘুরে দাঁড়াবে গেরুয়া শিবির?

পুরসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি চলাকালীনই নাকি জিতেন্দ্র তিওয়ারি তৃণমূলে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন। সেকথা তাঁর কানে যেতেই তৃণমূলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে শুরু করেন তিনি। তবে তবুও আসানসোলের ৪৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হলেন জিতেন্দ্র-বিরোধী হিসেবে পরিচিত তৃণমূলের অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়।

বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই আসানসোলে বিজেপির সাংগঠনিক ভিত নিয়ে নানান মন্তব্য শোনা যাচ্ছিল দলের অন্দরেই। আজ, সোমবার পুরভোটের ভোটগণনা শুরু হওয়ার পর সেই ইঙ্গিতই মিলল। আসানসোলে বেশিরভাগ আসনেই এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল।

এরই মধ্যে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি। তবে সার্বিকভাবে আসানসোলে পিছিয়ে রয়েছে বিজেপি। এই বিষয়ে জিতেন্দ্র তিওয়ারির মত, “আসানসোলের মানুষ যা চেয়েছিলেন, আজকের ফলাফলে তার প্রতিফলন হচ্ছে না। মানুষকে ভোটই দিতে দেওয়া হয়নি। ভোট লুঠ করা হয়েছে। এক একটি বুথে ১৫০-২০০ বহিরাগত অস্ত্র, বোমা, গুলি নিয়ে ঘুরেছে। বার বার বলা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কমিশন”।

আসানসোলের তৃণমূল বেশিরভাগ আসন পাওয়াকে কমিশনের ব্যর্থতা বলেই মনে করেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি বলেন, “কমিশন ঠুঁটো জগন্নাথ। রক্ষকই যেখানে ভক্ষক, সেখানে কী করবেন বলুন! কমিশন, তৃণমূল এবং পুলিশ মিলে একসঙ্গে কাজ করেছে। ভোটের পর বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশে থাকার চেষ্টা করব সবরকম ভাবে। বাকিটা কলকাতার বিজেপি নেতৃত্ব দেখবেন

তৃণমূলে জিতেন্দ্রর প্রত্যাবর্তনে বাধা দেওয়ার কথা জানতে চাইলে অমরনাথ বলেন, “উনি ফিরলে ফের মানুষ তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতেন। সেই পাথরটিকেই সরাতে চেয়েছিলাম। তাই আটকানোর চেষ্টা করেছিলাম”। অমরনাথ সাফ জানান যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলে জিতেন্দ্র অবশ্যই ফিরতে পারেন, কিন্তু জিতেন্দ্রর ফেরাকে যে ব্যক্তিগত ভাবে তিনি সমর্থন করেন না।

debangon chakraborty

Related Articles

Back to top button