Kabir Suman Viral Audio Clip: সাংবাদিককে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ, কুরুচিকর মন্তব্য, প্রকাশ্যে কবীর সুমনের ভাইরাল অডিও ক্লিপ
কবীর সুমন, নামটার সঙ্গে বাঙালিরা বেশ ভালোভাবেই পরিচিত। তবে তিনি আদতে বাঙালিদের কতটা সম্মান করেন বা বাঙালিদের প্রতি তাঁর আদৌ কোনও ভালোবাসার জায়গা রয়েছে কী না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ প্রকাশ করতে হয়। তিনি মূলত গানের জগতের মানুষ হলেও রাজনৈতিক মহলেও তাঁর বেশ পরিচিতি রয়েছে।
কেরিয়ারের প্রথমের দিকেই ‘আজকাল’ নামক দৈনিক সংবাদ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। একই সঙ্গে সমান্তরালভাবে চলেছে তাঁর গানও। তাঁর আধুনিক ও বিশিষ্ট লোকগীতি মানুষের মন কাড়ে বটে। নব্বইয়ের দশকে তিনি যে বাংলা গানে এক নতুন জোয়ার এনেছিলেন, তা স্বীকার করতেই হয়। তবে তিনি বিতর্কে জড়ান যখন ২০০০ সালে তিনি নিজের ধর্ম পরিবর্তন করেন।
হিন্দু সুমন চট্টোপাধ্যায় রাতারাতি ধর্ম বদলে হয়ে যান মুসলিম কবীর সুমন। শোনা যায় বাংলাদেশি গায়িকা সাবিনা ইয়াসমিনকে বিয়ে করার জন্যই ধর্ম পরিবর্তন করেছিলেন। তবে এর আগেও আরও চারটে বিয়ে রয়েছে কবীর সুমনের। সাংবাদিক হিসেবে কাজ করার সময় তিনি নানান সময় রাজ্যের নানান ঘটনা উত্থাপন করেছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাবেদারি করা তাঁর জন্য নতুন কোনও বিষয় নয়। ২০০৬ সালে তিনি যখন তারা টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক ছিলেন, সেই সময় থেকেই নন্দীগ্রামের কৃষিজমি নিয়ে লড়াইয়ের ঘটনায় তিনি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গ দেন। ধীরে ধীরে সেই সূত্র ধরেই সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন তিনি।
সেই সময় তৎকালীন বাম সরকারকেও অত্যন্ত কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করতেন তিনি। শুধু তাই-ই নয়, তারা টিভি-তে কবীর সুমনের রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে মাঝেমধ্যেই দেখা মিলত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৎকালীন বাম সরকারকে প্রকাশ্যেই শানাতেও শোনা গিয়েছে। এরপর ২০০৯ সালে তৃণমূলের টিকিটে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়ান কবীর সুমন। জয়লাভ করে লোকসভার সাংসদ হন তিনি।
এরপর থেকেও নানান সময় নানান বিতর্কে জড়িয়েছেন কবীর সুমন। তবে এবার ফের তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এলেন একটি অডিও ক্লিপের কারণে। সম্প্রতি, একটি অডিও ক্লিপ বেশ ভাইরাল হয়েছে যাতে কবীর সুমন ও রিপাবলিক বাংলার এক সাংবাদিক বিট্টু রায়চৌধুরীর কথোপকথন শোনা যাচ্ছে।
ওই সাংবাদিক কবীর সুমনকে ফোন করেন ও বলেন তিনি সংশ্লিষ্ট চ্যানেল থেকে কথা বলছেন। চ্যানেলের নাম শুনেই প্রথমেই কবীর সুমন বলেন, “ওই ‘শুয়োরের বাচ্চা’ আরএসএস-এর চ্যানেল থেকে”? এরপর সাংবাদিক তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি সম্পূর্ণ অন্য এক বিষয়ে কথা বলতে ফোন করেছেন।
কিন্তু কবীর সুমন নিজের আক্রমণ চালিয়ে যান ও অশ্রাব্য ভাষায় সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। তিনি এও বলেন যে “জয় শ্রী রাম বলে ফোনটা রেখে দে”। শুধু তাই-ই নয়, বাঙালিদের উদ্দেশেও তিনি লেখার অযোগ্য ভাষায় কটূক্তি করতে থাকেন। শেষমেশ ফোনটা কেটে দিতে বাধ্য হন ওই সাংবাদিক।
এখান থেকেই কবীর সুমনের চারিত্রিক পরিচয় মেলে যে তিনি আদতে কেমন। তিনি নিজেও একসময় সাংবাদিক হিসেবে একাধিক কাজ করেছেন। তিনি নিজে সাংবাদিকতা করে অন্য এক সাংবাদিককে কীভাবে এমন কুরুচিকরভাবে আক্রমণ করতে পারেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে আসতেই বেশ হইচই পড়েছে নানান মহলে। নিন্দার ঝড় উঠেছে কবীর সুমনের বিরুদ্ধেও। যদিও এই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি ‘খবর ২৪x৭’।
শুনে নিন অডিও ক্লিপটি-
অডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি ‘খবর ২৪x৭’