“ঝড়ের আগে কান্তি আসে”, নির্বাচনে হেরেও মানুষের জন্য কোভিড হাসপাতাল খুললেন সুন্দরবনের অভিভাবক
তিনি বারবার বলেন, আমি এই সুন্দরবনের এলাকার লোক। এমনই জননেতা গত তিনটি বিধানসভা নির্বাচনে গোহারা হেরেছেন। সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে হারার পর সোজা আঙুল তুলেছেন আলিমুদ্দিনের দিকে। কিন্তু তিনি যে আসলেই একজন জননেতা, মানুষের জন্য তাঁর ভালোবাসা যে এতটুকুও টাল খায়নি তা ফের প্রমাণ করলেন কান্তি।
ভারতে ভয়ঙ্কর করোনা পরিস্থিতির মাঝে সেই হেরো কান্তিই এবার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট একটি ঝাঁ চকচকে কোভিড হাসপাতাল খুলেছেন। ৩৪ বছর রাজ্য শাসন করার পর বিগত ১০ বছরে বঙ্গ রাজনীতি থেকে প্রায় মুছে যাওয়ার পথে সিপিআইএম। কিন্তু সেই দলটার বুড়ো থেকে ছুড়ো সবাই এই করোনা মোকাবিলায় নিজেদের সঁপে দিয়েছেন। যেখানে মানুষের জীবন বাঁচাতে প্রাণ প্রাণ ছুটে চলেছে রেড ভলেন্টিয়ার্স বাহিনী সেখানেই কোভিড হাসপাতাল তৈরি করে চমক দিলেন প্রবীণ কমরেড কান্তি গাঙ্গুলি।
এই হাসপাতালের ছবি সোশ্যাল মাধ্যমে প্রকাশ করে কান্তি বাবু লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনীর (মুকুন্দপুর প্রতিবন্ধী Village) উদ্যোগে ৫০ বেড ( দ্রুত লক্ষ্য ১০০ বেড ) সম্পন্ন এক ত্রাণ কেন্দ্র খোলা হবে। ঠিকানা :পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনী,১৪৭, বরাখোলা, কৃষকপল্লী, মুকুন্দপুর, কলকাতা – ৭০০০৯৯। আপনাদের আর্থিক সাহায্য পেলে আমরা এই প্রকল্পকে আরো অনেক দূর নিয়ে যেতে পারবো,QR কোড দেওয়া হলো। সমস্ত অনুদানের সবিস্তার বিবরণ ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট এর মারফত আপনাদের সামনে তুলে ধরা হবে।”
এই পোস্ট চোখের নিমেষে ভাইরাল হয়। সরকারে থেকে যাঁরা ব্যর্থ এখানে একজন প্রায় হারিয়ে যেতে বসা বিরোধী নেতা এইরকম অসাধ্য সাধন করেছেন যা রীতিমতো প্রশংসিত হচ্ছে রাজ্য জুড়ে।
কিন্তু বুড়ো হাড়ে কান্তির ভেলকি দেখানো এখনো বাকি। সামনে আসছে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় যশ। পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা যার দাপটে ফের বিধ্বস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর তাই আমফানের বর্ষপূর্তিতে আসতে চলা যশের হাত থেকে সুন্দরবনকে বাঁচাতে ফের রায়দিঘির পথে কান্তি গাঙ্গুলি।