ন্যক্কারজনক! ধ’র্ষ’ণের সুবিচার চাইতে যাওয়াই কাল, পার্টি অফিসে ডেকে তরুণীকে গণধ’র্ষ’ণ, কাঠগড়ায় খড়গপুরের তৃণমূল কাউন্সিলর
প্রেমিকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। সেই ঘটনার মীমাংসা করার নামে পার্টি অফিসে ডেকে তরুণীকে গণধ’র্ষ’ণের অভিযোগ উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরের তৃণমূল কাউন্সিলর-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে।
বছর পাঁচেক আগে স্বামী মারা যায় ওই তরুণীর। তারপর থেকে তিনি বাপের বাড়িতেই থাকতেন। সেখানেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে অরবিন্দ রাও নামের এক যুবকের সঙ্গে। তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় ওই যুবক। কিন্তু পরবর্তীতে তাকে বিয়ের কথা বললে রাজি হয় না সে।
এই ঘটনার কথা স্থানীয় কাউন্সিলর মুকেশ হুমনেকে জানান ওই তরুণী। সেই কাউন্সিলর প্রতিশ্রুতি দেন যে তিনি এই ঘটনার মীমাংসা করবেন। গত ২৫শে জুলাই ওই তরুণী ও তার প্রেমিককে স্থানীয় পার্টি অফিসে ডাকেন ওই কাউন্সিলর ঘটনার সুবিচার করতে। সেখানে আরও একজন উপস্থিত ছিল বলে জানা গিয়েছে।
কিন্তু মামলার মীমাংসা তো দূর, পার্টি অফিসে তিনজন মিলে গণধ’র্ষ’ণ করে ওই তরুণীকে। এরপরই তিনজনের বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। অভিযোগ পেয়ে প্রেমিক যুবককে গ্রেফতার করলেও, কাউন্সিলর ও বাকি একজনকে গ্রেফতার করে না পুলিশ। এরপর থেকেই তরুণীকে প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে অভিযুক্ত কাউন্সিলরের লোকজন।
তিনমাস ধরে হুমকির ভয়ে মুখ না খুললেও, শেষমেশ এসপি-কে চিঠি লিখে সবটা জানান ওই তরুণী। ওই চিঠিতে কাউন্সিলর মুকেশ ও আরও এক যুবককে গ্রেফতার করার দাবী তোলেন তিনি। তরুণীর অভিযোগ, মুকেশ ও ওই যুবকের ভয়ে বাড়ি থেকে বেরোতে পারেন না তিনি। তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অভিযুক্তদের যথাযথ শাস্তির দাবী তোলেন তিনি।
এদিকে, নিজের দিকে ওঠা সমস্ত অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন ওই তৃণমূল কাউন্সিলর। তার কথায়, ওই তরুণীর সঙ্গে একাধিক পুরুষের সম্পর্ক ছিল। তিনি এও অভিযোগ করেন যে দলেরই একাংশ তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তাঁর কথায়, তিনি প্রশাসনের উপর বিশ্বাস রেখেছেন যে এই ঘটনার সঠিক তদন্ত হবে।