বিজেপি কাজু ব্যবসায়ীদের উপর জুলুম চালাচ্ছে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আয়কর অভিযান চালাচ্ছে, কাঁথিতে এবার ‘কাজু বাঁচাও কমিটি’ গড়লেন কুণাল

কাঁথিতে সভা করে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁর অভিযোগ, কাঁথিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে বিজেপির একাংশ কাজু ব্যবসায়ীদের (cashew businessmen) উপর জুলুম চালাচ্ছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি কেন্দ্রিক বিজেপির জুলুমবাজি বাড়ছে দিনদিন। সঠিক জিএসটি দিয়ে ব্যবসা করলেও নাকি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আয়কর অভিযান চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ।
গতকাল, বুধবার কাঁথির অরবিন্দ স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বিস্ফোরক দাবী করেন। জানা গিয়েছে, কাজু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কাজু শিল্পে নিযুক্ত শ্রমিকরাও এদিন তাঁর কাছে অভিযোগ করেছেন। বিজেপির বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলে তাঁরা বলেন, “বিজেপির জুলুমে গেরুয়া শিবির লাভবান হলেও ব্যবসায়ীরা চাপে পড়ে ব্যবসা গুটিয়ে নিলে না খেয়ে মরবো আমরা। কাজু শিল্পের স্বার্থে কেন্দ্রীয় এজেন্সির এই অত্যাচার বন্ধ না হলে আমরা বাঁচব না”।
এদিন কুণাল ঘোষের প্রস্তাব মেনে কাজু শিল্প বাঁচাও কমিটি তৈরি করেন ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। আপাতত দু’পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে আপাতত একটি কমিটি গড়ে গেরুয়া জুলুমবাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রাথমিক রূপরেখা তৈরি হয়েছে। এদিন সকালে অরবিন্দ স্টেডিয়ামে প্রথমে চা-চক্রে অংশ নেন। এরপর তিনি কাজু ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বঙ্গে এসে পিছাবনি মোড়ে সভা করে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। এদিন সেই একই জায়গায় পাল্টা সভাপতি করেন তৃণমূল মুখপাত্র। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে কুণাল বলেন, “উনি বাংলায় এসে রাজ্য সরকারের যে সমস্ত প্রকল্পের বদনাম করেছেন তার প্রত্যেকটিকেই ওঁর কেন্দ্রীয় সরকার একাধিকবার দেশের সেরা পুরস্কার দিয়েছে। উনি গেরুয়া মঞ্চে উঠে বাংলাকে দেওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের এই পুরস্কারগুলির বিষয়ে স্মৃতিভ্রষ্ট হন”।
এদিনের এই সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অখিল গিরি, সুপ্রকাশ গিরি প্রমুখ। এদিন দুপুরে জনমঙ্গলে কাঁথি সাংগঠনিক জেলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নয়া কর্মসূচি ‘দিদির সুরক্ষা কবজ’ প্রকল্প নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক হয়। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, তন্ময় ঘোষ, জেলার তৃণমূলের চেয়ারম্যান অভিজিৎ দাস, সভাপতি তরুন মাইতি, জেলা পরিষদ সভাধিপতি উত্তম বারিক, যুব সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি প্রমুখরা সেই বৈঠকে ছিলেন এদিন।