রাজ্য

১৮০ ডিগ্রি ইউটার্ন! ‘ব্যক্তিগতভাবে অভিষেককে চিনিই না, কেউ চিঠি লিখতে চাপ দেয়নি, নিজের ইচ্ছায় লিখেছি’, সিবিআই জেরায় বললেন কুন্তল

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি নিয়ে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কুন্তল ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে যোগসাজশ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এরই মাঝে এবার সিবিআই জেরায় সম্পূর্ণ ইউটার্ন নিয়ে এক দাবী করলেন কুন্তল। বললেন, তিনি অভিষেককে ব্যক্তিগতভাবে চেনেনই না। এমনকি, সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে চিঠি লেখার জন্যও কেউ তাঁকে চাপ দেয়নি বলেই দাবী কুন্তলের।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হন কুন্তল ঘোষ। আপাতত প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দী তিনি। জেলের মধ্যে থেকেই কুন্তল গত মাসে দাবী করেছিলেন যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা নাকি তাঁর উপর চাপ দিচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলে দেওয়ার জন্য। এই নিয়ে আদালতকে চিঠিও লেখেন তিনি।

সেই চিঠির প্রেক্ষিতেই হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন যে ইডি বা সিবিআই চাইলে অভিষেক ও কুন্তলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে পারে। এই ঘটনার জল অনেকদূর গড়ায়। গত শনিবারই সিবিআই দফতরে এই মামলার জন্য হাজিরা দিয়েছেন অভিষেক।

এর মধ্যে এবার গত বুধবার সিবিআই কুন্তলকে তাঁর সেই চিঠি নিয়ে জেরা করে। সেখানেই কুন্তল দাবী করেছেন যে তিনি অভিষেককে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন না। তাঁকে এও প্রশ্ন করা হয় যে তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে চিঠি লেখার জন্য তাঁকে কোনও চাপ দেওয়া হয়েছিল কী না। কুন্তল জানান কোনও চাপ দেওয়া হয়নি। নিজের মনের কষ্টেই চিঠি লিখেছিলেন তিনি।

আবার, অভিষেকের সঙ্গে কুন্তলের যে ছবিটি ভাইরাল হয়, তার প্রেক্ষিতেও কুন্তল দাবী করেছেন, এক রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে গিয়ে এই ছবি তিনি তুলেছেন। একইসঙ্গে ২৯ মার্চ তৃণমূল যুবর যে সভা শহিদ মিনারে হয়, সেখানে যে বক্তব্য অভিষেক রাখেন, তা কুন্তল কীভাবে জানলেন তা জানতে চায় সিবিআই। সূত্রের দাবি, কুন্তল তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, পরেরদিন খবরের কাগজ পড়ে তা তিনি জানতে পেরেছেন।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার নিজাম প্যালেসে কুন্তল ঘোষ প্রসঙ্গে অভিষেকও বলেছিলেন, “আমি কোনওদিন দেখিইনি, চিনিই না… আমার ফোনে কথাও হয়নি”।

একইসঙ্গে অভিষেক বলেছিলেন, “২৯ মার্চ শহিদ মিনার ময়দানে যে বক্তব্য রেখেছিলাম, কোথাও কুন্তল ঘোষের নাম নিইনি। অনেকেই তো গ্রেফতার হয়েছেন। আমি তো কারও নাম নিই। আমি কি একবারও বলেছি কুন্তলকে চাপ দেওয়া হয়েছে? আমি বলেছি, মদন মিত্র ও কুণাল ঘোষের সঙ্গে এই কাজ করা হয়েছে। তাঁরা জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর, হেফাজতে থাকাকালীন তাঁদের অভিজ্ঞতা আমাকে জানিয়েছেন। সেই ভিত্তিতে আমি বলেছি”।

debangon chakraborty

Related Articles

Back to top button