সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীনই মৃত্যু হল বগটুই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের, মৃত্যুকে ঘিরে উঠছে অনেক প্রশ্ন!

সিবিআই হেফাজতে থাকতেই মৃত্যু হল বগটুই কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের। আজ, সোমবার সন্ধ্যেবেলা মৃত্যু হয় তাঁর। জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ লালনের দেহ সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে নিয়ে যাওয়া হয় রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে।
গত ৪ঠা ডিসেম্বর ঝাড়খণ্ড থেকে লালনকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। প্রথমে তিনদিন ও তারপর আরও ৬ দিন সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আজ সিবিআই হেফাজতেই থাকাকালীনই মৃত্যু হল লালনের।
বগটুই কাণ্ডে নিহত পঞ্চায়েত প্রধান ভাদু শেখের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন এই লালন। গত ২০শে মার্চ গুলি করে খুন করা হয় ভাদু শেখকে। সেদিন রাতেই বগটুই গ্রামের লাইন দিয়ে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় একাধিকের।
বগটুই কাণ্ডে সিবিআই লালনকে নিয়ে মোট ২৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। বগটুই ঘটনার প্রায় ন’মাস পর ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থেকে লালনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হেফাজতে থাকার সময়ে লালনের কীভাবে মৃত্যু হল তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে।
লালনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে ভাদু খুনের বদলা নিতেই বগটুইয়ে লাইন দিয়ে বাড়িতে যে বাহিনী আগুন লাগিয়েছি প্রধান ছিলেন এই লালন। এও জানা গিয়েছিল, বগটুই মোড়ে যে পেট্রোল পাম্প রয়েছে সেখান থেকে পেট্রোল কিনেই গ্রামের একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছিল।
কিন্তু সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন অবস্থায় কীভাবে লালনের মৃত্যু হল, তা নিয়ে ক্রমেই রহস্য ঘনাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে যে লালনের যদি কোনও শারীরিক অসুস্থতা থাকত, তাহলে কী তা সিবিআইয়ের চোখে পড়ে নি? লালনের রুটিন মেডিক্যাল চেকআপেও কী কোনও অস্বাভাবিকতা ধরা পড়ে নি? এই ঘটনার জেরে যে বগটুই মামলা এক অন্য মোড় নেবে, তা বলাই বাহুল্য।