‘বাংলায় এখন সবাই তৃণমূল’, উপনির্বাচন আগেই কার্যত হার স্বীকার করে নিলেন বাম নেতা
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ভালো ভাবেই জানেন যে উপনির্বাচনে সাধারণত শাসকদলেরই জয় হয়। কিন্তু যতই যা হোক, বিরোধীরা কখনও হেরে যাওয়ার আগে হার মেনে নেন না। শাসকদলের থেকে যতই পিছিয়ে থাকুক না কেন, বিরোধী প্রার্থীর মুখে কখন আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা দেয় না বা বলা ভালো তারা তা বুঝতে দেন না।
বর্তমানে বাংলার রাজনীতিতে বামেরা যে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে, তা বেশ স্পষ্ট। সবদিকেই যেন তৃণমূলেরই পতাকা উড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে এবার উপনির্বাচনের আগে কার্যত বাম প্রার্থী হার মেনে নিলেন।
গোসাবায় সিপিএমের তরফে প্রার্থী করা হয়েছে আরএসপির নেতা অনিলচন্দ্র মণ্ডলকে। আজ, বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “যেহেতু বাংলায় সবাই তৃণমূল, গোসাবার জনগণ একমাত্র আরএসপি-কে ভোট দেবে এটা কাম্য নয়, আশা করা যায় না”।
প্রসঙ্গত, আগামী ৩০শে অক্টোবর গোসাবা-সহ রাজ্যের চার কেন্দ্রে রয়েছে উপনির্বাচন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে গোসাবা আসন থেকে জিতেছিল তৃণমূল। কিন্তু পরে বিধায়কের মৃত্যু হওয়ায় ওই আসনটি খালি হয়ে যায়। এর জেরে নির্বাচন হচ্ছে এই কেন্দ্রে।
বলে রাখি, ১৯৬৯ থেকে ২০১১ টানা ৪২ বছর বাম শরিক আরএসপির দখলে ছিল গোসাবা। তবে ২০১১ সালে আসনটি হাতছাড়া হয়ে যায় আরএসপির। এরপর আর এই কেন্দ্রে দাগ কাটতে পারেনি তারা। ২০২১ সালের নির্বাচনেও অনিলচন্দ্র মণ্ডল এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি মাত্র ২.৪৯ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন।
এমন পরিস্থিতিতে আসন্ন উপিনর্বাচনে যে বামেরা গোসাবায় ভোট তেমন পাবে না, তা কার্যত যেন মেনে নিয়েছেন আরএসপি প্রার্থী। তিনি বলেই দিলেন, “উপনির্বাচনে সাধারণত শাসক দলের বিরুদ্ধে জনমত খুব একটা যায় না”।
আবার এদিকে এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আরএসপি নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী সুভাষ নস্কর বলেন, “প্রার্থী সেভাবে কথা বলতে চাননি। বোঝাতে চেয়েছেন উপনির্বাচন হলে কীরকম ট্রেন্ড থাকে, আমরা ভালো লড়াই দেব”।