ম’দের ফোয়ারা উৎসবে! দোল-হোলিতে রেকর্ড ম’দ বিক্রি হল বাংলায়, গত বছরের চেয়ে বিক্রি বাড়ল ৩৫ শতাংশ
এ বছর দোল ও হোলিতে ম’দ বিক্রির পরিমাণ অন্যান্য বছরকেও ছাপিয়ে গেল। এই দু’দিন রেকর্ড ম’দ বিক্রি হয়েছে বাংলায়। ম’দ ব্যবসায়ীদের মতে, এই বছর দোল ও হোলিতে রাজ্যে ম’দ বিক্রির পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেশি।
করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দোল বা হোলির সময় ম’দের দোকান খোলা থাকা নিয়ে বেশ কিছু বিধিনিষেধ ছিল। এর জেরে ম’দ বিক্রির উপরও প্রভাব পড়েছিল। কিন্তু এই বছর কোনও বিধিনিষেধ না থাকায় সকাল থেকেই খোলা ছিল ম’দের দোকান। ফলে সকাল থেকেই দোকানে দোকানে লম্বা লাইনও দেখা গিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত বছর করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের পর হোলি এবং দোলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই বছর কোনও বিধিনিষেধ না থাকায় রঙ উৎসবের আনন্দে মাতোয়ারা হয়েছে গোটা রাজ্য। কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান অ্যালকোহলিক বেভারেজ কোম্পানির একজন কর্মকর্তা (সিআইএবিসি) জানিয়েছেন, এই বছর রাজ্যে সামগ্রিকভাবে ম’দের বিক্রি ভালো হয়েছে।
শহরের এক ম’দ বিক্রেতার কথায়, “সোমবার রাতের মধ্যে আমাদের প্রায় ৮০ শতাংশ স্টক শেষ হয়ে গিয়েছিল কারণ ক্রেতারা দোলের কারণে ম’দ কিনেছিলেন। বুধবারও হোলি উপলক্ষে সকাল থেকেই দোকানে লম্বা লাইন ছিল”। বেশ কিছু হাউজিং কমপ্লেক্স দোল ও হোলি পার্টির আয়োজন করে। অনেক পরিবারও মঙ্গলবারের পাশাপাশি বুধবার বাড়িতে পার্টির আয়োজন করেছে। বুধবার শহরের নানান স্থানে অন্তত ১৫টি বড় হোলির অনুষ্ঠান হয়েছে।
বিক্রেতাদের কথায়, মোট ম’দ বিক্রির প্রায় ৫০ শতাংশ হল বিয়ার। এরপর সবথেকে বেশি বিক্রি হয়েছে ভদকা। তবে অন্যান্য উৎসবের মতো বার বা লাউঞ্জে ম’দ বিক্রির পরিমাণ সেভাবে বাড়ে নি। গত বছর হোলির সময় বাংলায় ম’দ বিক্রি হয়েছিল ২০০ কোটি টাকার। আর এই বছর সেই বিক্রি বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। এই প্রথম নয়, গত বছর পুজোর মরশুমে বাংলায় রেকর্ড ম’দ বিক্রি হয়। ম’দ বিক্রি থেকে আয়ের পরিমাণ ছিল ৩০০০ কোটি টাকা।