‘স্যার বললেন টিকটিকি ফেলে খেয়ে নে’, মিড ডে মিল নিয়ে ফের বিতর্ক, খাবার খেয়ে অসুস্থ ৩৫ জন শিশু

এর আগেও বারবার রাজ্যে মিড ডে মিল নিয়ে নানান বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কখনও দেখা গিয়েছে মিড ডে মিলের খাবারে পড়েছে পোকা, সাপ, কেঁচো তো কখনও আবার দেখা গিয়েছে মিড ডে মিলের জন্য মজুত করা চালে কিলবিল করছে পোকা। ফের মিড ডে মিল খেয়ে একাধিক শিশুর অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা সামনে এল।
ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়ার ২ নম্বর ব্লকের তেহট্ট জুনিয়র বেসিক স্কুলে। সূত্রের খবর, মিড ডে মিল খেতে খেতে আচমকাই এক পড়ুয়া দেখে ডালের মধ্যে একটা আস্ত টিকটিকি পড়ে রয়েছে। এদিকে ততক্ষণে সেই খাবার খেয়ে ফেলেছে প্রায় সকল পড়ুয়াই। খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পর থেকেই অসুস্থ হতে থাকে প্রায় ৩০-৩৫ জন পড়ুয়া। কারোর পেটে শুরু হয় অসহ্য যন্ত্রণা, কেউ বারবার বমি করতে থাকে। অসুস্থ পড়ুয়াদের তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় বৃন্দাবনপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানেই চিকিৎসা হয় তাদের।
অভিভাবকদের অভিযোগ, এই স্কুলের রাঁধুনি কানে ঠিক মতো শুনতে পান না। এমনকি চোখেও ভালো দেখেন না বলে দাবী তাদের। প্রধান শিক্ষককে রাঁধুনির বিষয়ে বারবার তারা অভিযোগও জানিয়েছেন তারা। কিন্তু তিনি তাতে কোনও কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ অভিভাবকদের।
এই ঘটনায় স্কুলের ছাত্র প্রদীপ মালি বলে, “ডাল, আলুর তরকারি আর ভাত রান্না হয়েছিল। খেতে খেতে দেখি ডালে ভাসছে একটা আস্ত টিকটিকি। দেখা মাত্রই স্যারকে বলি। স্যার বলে ফেলে দিয়ে খেয়ে নিতে। তারপর খাওয়া-দাওয়া সেরে বাড়ি ফেরার পর বমি হয়েছিল আমার”।
এই ঘটনায় অভিভাবকরা তীব্র ক্ষোভ জারি করেছেন। এক অভিভাবকের কথায়, “বাচ্চাগুলো স্কুল থেকে ফিরছিল তখন। নিজেদের মধ্যেই বলাবলি করছিল এটা-ওটা। ওদের মধ্যেই কেউ একজন বলছিল টিকটিকির ঝোল খাইয়েছে। আমি কৌতূহলবশত জিজ্ঞাস করাতেই বলে ডাল-তরকারির মধ্যে টিকটিকি পড়েছিল। সেই খাবারই খেতে দেওয়া হয়। ঘটনা শুনেই আমরা স্যারদের সঙ্গে কথা বলতে স্কুলে যাই। আমাদের ক্ষোভের কথা জানাই। স্কুলে যে রাঁধুনি আছে সে চোখে দেখতেও পায় না, কানে শুনতেও পায় না। ওনাকে বদলানোর জন্য অনেকবার বলেছি আমরা। কিন্তু, কোনও কাজ হয়নি। এদিকে টিকটিকি দেওয়া খাবারের কথা বলতে গেলে রাঁধুনি আবার বলছেন আপনাদের বাচ্চা কী খেয়ে মারা গিয়েছে”?