ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে তৃণমূল! হাওড়ার যোগদান মেলায় একঝাঁক তৃণমূল কর্মী ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মফুলে যোগ

ধীরে ধীরে ক্রমশ আরও দুর্বল হয়ে পড়ছে ঘাসফুল শিবির। বিভিন্ন জেলা তো বটেই, বিশেষ করে হাওড়াতে একেবারেই তৃণমূল মুখ থুবড়ে পড়েছে বলা যেতে পারে। ফের হাওড়া থেকে একঝাঁক তৃণমূল কর্মী যোগদান করল গেরুয়া শিবিরে।
আজ দুপুর সাড়ে তিনটে থেকে হাওড়া ডুমুরজোলা স্টেডিয়াম থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত এক বিরাট মিছিল করে গেরুয়া শিবির। কমপক্ষে দশ হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন এই মিছিলে। এরপর হাওড়া ময়দানেই অনুষ্ঠিত হয় যোগদান মেলা। এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সৌমিত্র খাঁa, সর্বভারতীয় বিজেপির সহ-সভাপতি মুকুল রায়, রাজু সরকার, হাওড়া জেলা বিজেপি সভাপতি সুরজিৎ সাহা প্রমুখ।
এদিনের এই অনুষ্ঠানে কাতারে কাতারে তৃণমূল কর্মী যোগ দেন বিজেপিতে। এদিনের অনুষ্ঠানে সৌমিত্র খাঁ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় বলেন তার নাম নিয়ে কথা বলতে, যা বলার তা যেন সরাসরি তাঁকেই বলা হয়, আজ আমি এই সভা থেকে সরাসরি বলছি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কয়লা চোর। এই সরকার পচে গেছে। জনগণ ৩৪ বছর ধরে বামদের অত্যাচার সহ্য করেছে, আর তারপর আরও ১০ বছর তৃণমূলের অত্যাচার চলছে। আমরা চাই এর শেষ হোক”। এরপরই তিনি জনগণকে আবেদন করেন তারা যেন বিজেপিকে ভোটে জয়ী করেন।
এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন যে করোনা পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেভাবে সামলেছেন, তা দৃষ্টান্তমূলক। তাঁর কারণেই বিপুল সংখ্যক মানুষ এই অতিমারি কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন। এরপর রাজ্য সরকারকে সরাসরি দেগে তিনি বলেন, “মানুষ আমাকে জিজ্ঞেস করে ভাইরাস কবে যাবে, আমি সে উত্তর দিতে পারি না, কিন্তু এই উত্তরটা দিতে পারি যে অন্য একটি ভাইরাসও রাজ্যে রয়েছে, সেটা মে মাসের পর চলে যাবে”।
রাজ্য সরকারকে দেগে তিনি আরও বলেন যে প্রধানমন্ত্রী সকল মানুষের জন্য শৌচাগার বানানোর টাকা দিলেও সেখান থেকে কাটমানি গিয়েছে তৃণমূলের কাছে, এর ফলে শৌচাগার তৈরি হয়নি। কেন্দ্র সরকারের প্রকল্প আয়ুষ্মান ভারতের জেরে সুবিধা পেয়েছে অন্যান্য রাজ্যের মানুষ কিন্তু এ রাজ্যে তা হয়নি। এরপর তাঁর সাফ বক্তব্য রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে দুর্নীতি দূর হবে। সাধারণ মানুষ নিজের সমস্যার কথা বলতে পারবেন। এভাবেই সোনার বাংলা গড়া সম্ভব হবে।