রাজ্য

‘কারোর চাকরি যেতে দেব না, দরকার হলে জেল খাটব’, নিয়োগ দুর্নীতিতে কামারহাটি পুরসভার নাম জড়াতেই পুরকর্মীদের পাশে দাঁড়ালেন মদন

কামারহাটি পুরসভায় (Kamarhati Municipality) বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। অয়ন শীলকে (Ayan Shil) গ্রেফতার করার পর ইডি-র জেরায় এমনটাই খবর মিলেছে। এরপরই সেই পুরসভার কর্মীরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে এবার হয়ত তাদের চাকরি যেতে চলেছে। এমন আবহে কামারহাটি পুরসভার কর্মীদের পাশে দাঁড়ালেন সেই এলাকার তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। সকলকে তিনি আশ্বাস দেন যে কারোর চাকরি যাবে না।

নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছে অয়ন শীল। এরপরই জানা যায়, শুধুমাত্র শিক্ষাক্ষেত্রেই নয়, রাজ্যের ৬০টি পুরসভাতেও বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কামারহাটি পুরসভাও। এই পুরসভাতেই কাজ করেন অয়ন ঘনিষ্ঠ শ্বেতা চক্রবর্তীও। নিয়োগ বিতর্কে অয়ন-শ্বেতার নাম জড়াতেই কামারহাটির পুরসভার কর্মীরা নিজেদের চাকরি নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছেন। এবার তাদের ভয় কাটালেন মদন মিত্র।

কামারহাটির বিধায়ক বলেন, “ধর্না দিচ্ছেন তাঁদের প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ সমবেদনা রয়েছে। যোগ্য কর্মীরা চাকরি পান। তার মানে এই নয়, তৃণমূলের ছেলে-মেয়েরা যোগ্য হলে তাঁদের চাকরি দেওয়া যাবে না। কেন তৃণমূল করাটা পাপ নাকি। তৃণমূল কি হনুলুলু থেকে এসেছে? তৃণমূল এই বাংলার মাটিতে আছে। আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন। ভাল করে কাজ করুন। মানুষকে ভাল পরিষেবা দিন। আপনারা কেউ টাকা দিয়ে এখানে চাকরি পাননি”।

এরপরই পুরসভার কর্মীদের আশ্বাস দিয়ে মদন বলেন, “দরকার হলে সুপ্রিম কোর্টে যাব। জেল খাটব। তবু আপনাদের কারোর চাকরি যাবে না”।

উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের সমস্ত তাবড় তাবড় নেতাদের। গ্রুপ সি বা গ্রুপ ডি-তে চাকরি বাতিলের যে তালিকা প্রকাশ হয়েছে, তাতে অধিকাংশই হয় তৃণমূল নেতা বা তাদের ঘনিষ্ঠ কেউই। কারচুপি করে তৃণমূল কর্মীদেরই চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এমন আবহেই এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেব তিনি নিজের কোটার চাকরি নিজের দলের লোকজনদেরই দেবেন। তাঁর এমন মন্তব্যে বেশ বিতর্ক তৈরি হয়। আবার মদন মিত্র সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে এসে বলেছিলেন তিনি যদি সুযোগ পান, তবে তিনি ফের তৃণমূল কর্মীদের চাকরি দেবেন। এই নিয়ে কম শোরগোল পড়ে নি রাজ্যে।

debangon chakraborty

Related Articles

Back to top button