‘দুধ মাঙ্গোগে তো ক্ষীর দেঙ্গে, বেঙ্গল মাঙ্গোগে তো চিড় দেঙ্গে’, বিজেপিকে হুঁশিয়ারি মদনের
এমনিতে তিনি তাঁর নানান সংলাপের জন্য বেশ পরিচিত। ফেসবুক লাইভে এসেও তিনি নিজের বক্তব্য পেশ করেন হামেশাই। কাউকে শানানো হোক বা হুঁশিয়ারি জারি করা, এও তিনি আগেও করেছেন। আরও একবার ফের বিরোধী পক্ষ বিজেপিকে শানিয়ে জোর গলায় হুঁশিয়ারি শানালেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী মদন মিত্র।
গত ১৯শে জানুয়ারি হাওড়ার একটি জনসভা থেকে বিজেপিকে রীতিমতো শানিয়ে জোর গলায় মদন বলেন, “দুধ মাঙ্গোগে তো ক্ষীর দেঙ্গে, বেঙ্গল মাঙ্গোগে তো চিড় দেঙ্গে”। এরপরই শুভেন্দু অধিকারীকে তাক করে তিনি বলেন যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি এক লাখ ভোটে না যেতেন, তাহলে তিনি নিজের হাতের কব্জি চিড়ে ফেলবেন। বলে রাখি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই নন্দীগ্রামের প্রার্থী হবেন ঘোষণা করার পর শুভেন্দু অধিকারীও পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেছিলেন যে, তিনি যদি মমতাকে আধ-লাখ ভোটে হারাতে না পারেন, তবে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন।
মদন মিত্রের এই মন্তব্যের প্রসঙ্গে গতকাল বুধবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন যে এসব ‘ডায়লগবাজি’ করে লাভ হবে না। তাঁর কথায়, “কে কাকে চেড়ে দেখা যাবে। এসব ডায়লগ দিয়ে লাভ নেই। জনগণ অত্যন্ত মর্মাহত। রাজ্যের আইন প্রশাসনে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ এর থেকে মুক্তি চাইছে, তাই তাঁরা আমাদের স্বাগত জানাচ্ছেন। এটাই তাদের (তৃণমূলের) রাগের কারণ, তাই ওরা আমাদের হামলা করছে”।
উল্লেখ্য, বাংলার আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। বাংলায় পদ্ম ফোটাতে বেশ জোরকদমেই কাজে লেগে পড়েছে গেরুয়া শিবির। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রত্যেক মাসেই রাজ্যে আসবেন। তিনি দাবী করেছেন যে ২০০-এর বেশি আসন পেয়ে বাংলায় ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। এদিকে, শাসকদলও দাবী করেছে যে বাংলায় ১০০ আসনও পাবে না পদ্ম শিবির। আগামী ২৩শে জানুয়ারি নেতাজি জয়ন্তী উপলক্ষ্যে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সম্প্রতিই তিনি ২৩শে জানুয়ারিকে ‘পরাক্রম দিবস’ বলে ঘোষণা করেছেন।