রাজ্য

‘তৃণমূল কর্মীদের আমি আবারও চাকরি দেব’, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিতর্কের মাঝেই বেফাঁস মন্তব্য মদনের, অস্বস্তিতে দল

মাঝেমধ্যেই নানান বেফাঁস কথাবার্তা বলে দলকে অস্বস্তিতে ফেলতে তিনি সিদ্ধহস্ত। নিয়োগ দুর্নীতি (recruitment scam) নিয়ে এই মুহূর্তে গোটা রাজ্য উত্তাল। সেই চাপানউতোরের মধ্যেই ফের এক বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। ফেসবুক লাইভে এসে তিনি বলেন, “সুযোগ পেলে আমি তৃণমূল কর্মীদের (TMC workers) আবারও চাকরি দেব”। এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

নিয়োগ দুর্নীতির জেরে তৃণমূল জর্জরিত। তৃণমূলের একাধিক নেতার নাম জড়িয়েছে এই দুর্নীতিতে। এরই মাঝে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মদন মিত্র। গতকাল, মঙ্গলবার রাতে ফেসবুকে লাইভে এসে তিনি বলেন, “আমাদের বহু ছেলে সিপিএমের ৩৪ বছরে চাকরি পাননি। কয়েক কোটি বেকার রেখেছে সিপিএম চলে গেছিল। বেকার কি চিরকাল বেকার থাকবে? নিয়ম মেনে তাদের চাকরি দেওয়া হয় সেটা অন্যায় নয়। আমি সুযোগ পেলে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের আবারও চাকরি দেব। ৩৪ বছর ধরে সিপিএম দিয়ে আসছে”।

প্রসঙ্গত, বাম জমানায় স্কুলে চাকরি নিয়ে স্বজনপোষণের অভিযোগ কম নয়। আবার কেন্দ্রে বা বিজেপি শাসিত রাজ্যেও এই একই বিষয় নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ, আরএসএসের বহু ছেলেকে শিক্ষা ব্যবস্থায় বা সরকারি পদে ঢোকানো হয়েছে। এমনও অভিযোগ রয়েছে যে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার গঠনের পর ল্যাটারাল এন্ট্রির নামে নানান সরকারি পদে অনেক আরএসএস কর্মীকে ঢোকানো হয়েছে।

এই বিষয়ে মদনের মত, “নিয়োগের মধ্যে যেন দুর্নীতি না থাকে এবং প্রকৃত প্রার্থী যাঁরা পরীক্ষা দিয়ে পাশ করবেন, তাঁদের যেন বঞ্চিত না করা হয়। অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা তারে যেন তৃণসম দহে। তার মানে এই নয় তৃণমূল কর্মীরা চাকরি পেলে দোষ”।

কামারহাটি বিধায়কের এহেন মন্তব্য নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এই ইস্যুতে বলেন, “শিক্ষামন্ত্রী হয়ে ব্রাত্য বসু যা বলেছেন, তারপর মদন মিত্রের মন্তব্যকে নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। শিক্ষামন্ত্রী যদি বলতে পারেন, আমার কোটার চাকরি যাকে খুশি দেব। তাহলে মদন মিত্র একথা বলবেনই”।

debangon chakraborty

Related Articles

Back to top button