সিবিআই হাজিরা এড়াতে অনুব্রতর নাটকীয় ভর্তি এসএসকেএমে, ‘অভিজ্ঞ’ মদনের বিস্ফোরক দাবী, ‘উই ডোন্ট কেয়ার, আমরা এত কাপুরুষ নই’!
তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে যে দু’জন নেতা সবসময়ই প্রায় খবরের শিরোনামে থাকেন, তারা হলে মদন মিত্র ও অনুব্রত মণ্ডল। তাদের নানান মন্তব্য, কার্যকলাপ নিয়ে হাসি-ঠাট্টা, কটাক্ষ সবই হয় নানান মহলে। এবার এসএসকেএমে ভর্তি হওয়া অনুব্রতর পাশে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমের উপরেই সুর চড়ালেন মদন মিত্র।
আজ, বুধবার ফের একবার গরু পাচারকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে তলব করেছিল সিবিআই। গতকাল, মঙ্গলবার রাতে কলকাতাতে এসেওছিলেন তিনি। কিন্তু আজ সকালে তাঁর চিনার পার্কের বাড়ি থেকে যখন গাড়ি বেরল, তখন অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি নিজাম প্যালেসে না গিয়ে, গিয়ে ভিড়ল এসএসকেএমের গেটে।
ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পরীক্ষা হয়েছে তৃণমূল নেতার। এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডের ২১১ নম্বর কেবিনে ভর্তি রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। এর আগেও একাধিকবার সিবিআইয়ের হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। কখনও ভোটের ব্যস্ততা দেখিয়ে তো আবার কখনও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে একের পর এক সিবিআই তলবকে উপেক্ষ করেছেন কেষ্ট। এবার এর অন্যথা হল না। এই ঘটনা নিয়ে বিরোধীরা নানান কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন কেষ্টর দিকে।
এবার এই বিষয়ে এদিন মদন মিত্রকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সংবাদমাধ্যমকে তোপ দেগে বলেন, “আমার যা হয়েছিল, তা যদি আপনার বা আপনার বাড়ির কারও হত, তাহলে নন্দলাল হয়ে বাড়িতে বসে থাকত। মদন মিত্র বলে বাজারে আছি”। তাঁর সংযোজন, “কেউ যদি অসুস্থ হয় তাহলে কিছু করার নেই। আপনাদের খুশি করার জন্য বলতে হবে, হাজিরা এড়ানোর জন্য অসুস্থ হয়েছি। এত কাপুরুষ আমরা নই”।
এসএসকেএমে এভাবে ভর্তি হওয়ার অভিজ্ঞতা কেষ্টর প্রথম হলেও এই বিষয়ে বেশ অভিজ্ঞ মদন মিত্র। অতীত সাক্ষী যে যখনই সিবিআই বা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে, তিনি ঠিক সেই সময়ই অসুস্থ হয়ে এসএসকেএমে গিয়ে ভর্তি হয়েছে। সারদা, নারদাকাণ্ডে এমন অনেক ঘটনা দেখা গিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে মদন মিত্রকে প্রশ্ন করা হলে তাঁর জবাব, “জেরা এড়ানোর কোন প্রশ্ন নেই। আমি হই কিংবা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে অনেক তৃণমূল নেতারা হোক, সকলে একাধিক সময় সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছে এবং তদন্তে সবরকম সাহায্য করেছে”। আর এরপরই নিজের জনপ্রিয় সংলাপ বলে ওঠেন তিনি, “উই ডোন্ট কেয়ার”।