‘চড়াম চড়াম ঢোল বাজাব’, অনুব্রতহীন বীরভূমে অনুব্রতর কায়দাতেই পঞ্চায়েত ভোট করানোর হুঁশিয়ারি মদনের, ‘আহত বাঘ’ বলে আখ্যা কেষ্টকে

অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) যখন বীরভূমে ছিলেন, তখন বীরভূমের (Birbhum) ভোট বা অন্য কোনও বিষয় নিয়েই দলকে কখনও মাথা ঘামাতে হয়নি। নিজের মতো করেই বীরভূম সামলেছেন তিনি। তিনি এখন তিনি দিল্লিতে ইডি-র হেফাজতে। এমন সময় বীরভূমে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election) কীভাবে হবে, তা নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়েছে তৃণমূল। এমন আবহে এবার এই সমস্যার সমাধান দিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)।
বীরভূমে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে মদনের বক্তব্য, “লোকে ধরে নিচ্ছে অনুব্রত নেই মানে এবারের পঞ্চায়েতে তৃণমূলের পরাজয় ঘটবে। বীরভূম ধরে রাখতে পারবে না তৃণমূল। কিন্তু মনে রাখবেন জ্যান্ত বাঘের থেকে আহত বাঘ আরও ভয়ঙ্কর”।
এরপরই অনুব্রতর মতো করে চড়াম, চড়াম ঢোল বাজানোর কথা বলেন মদন। তাঁর কথায়, “আমি অফিসিয়ালি বীরভূম যেতে পারব না। কারণ আমি বাইরের লোক। কিন্তু বীরুভূমের সীমানার বাইরে বসে চড়াম চড়াম ঢোল বাজাবো”।
এদিন মদন কার্যত বুঝিয়েই দিলেন যে দল যদি তাঁকে ক্ষমতা দেয়, তাহলে তিনি বীরভূমে অনুব্রতর মতো করেই ভোট করাতে প্রস্তুত। মদন আরও বলেন, “পার্টি আমাকে দায়িত্ব দিলে আমি কলকাতা থেকে গুড়-বাতাস নিয়ে যাব। বিরোধীদের পাখার হাওয়াও দিয়ে দেব। অনেকদিন হাওয়া খায়নি বিরোধী দল। অনুব্রতর চষা মাঠ, অনুব্রতরই থাকবে”।
গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে দু’দিন আগেই মদন বলেছিলেন, “একটা অনুব্রতকে নিয়ে গেলে হাজার হাজার অনুব্রত, আমরা সবাই রয়েছি। কারণ খেলা হবে অনুব্রতর চষা ময়দানে নয়, খেলা হবে নেতাইতে, খেলা হবে নন্দীগ্রামে। খেলা হবে বীরভূমে। সেই লাঙল চষা চাষির নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বিজেপি যত পারেন আরও ধরুন। যত ধরবেন তত আমরা জিতব। যত মারবেন তত আমরা মজবুত হব। তৃণমূল ইজ ইউনাইটেড”।
তবে এই প্রথমবার নয়, এর আগেও বীরভূমে গিয়ে ভোট করানোর কথা বলেছিলেন মদন মিত্র। তিনি বলেছিলেন, “দল যদি চায় আমি গিয়ে ভোট করাতে রাজি আছি। দরকারে এক মাস গিয়ে পড়ে থেকে ভোট করাব। আমি নিজে থেকে সেটা জানিয়ে রাখছি”।