মাঝেমধ্যেই একটু বেফাঁস কথা বলে ফেলেন তিনি। তবে এই আলটপকা বকার জন্যই যে এবার তাঁর প্রাণ নিয়ে টানাটানি পরে যাবে তা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলার ভোটের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বিজেপি পরিচালিত উত্তরপ্রদেশ সরকারকে আক্রমণ করতে গিয়ে সম্প্রতি হিন্দু সম্প্রদায়ের আরাধ্যা দেবী সীতাকে হাথরাস-এর ধর্ষিতার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার জেরেই এবার কল্যাণের মাথা কাটার নিদান দিলেন মহন্ত পরমহংস। তিনি জানালেন, তদন্ত না হলে, ওই সাংসদের মাথা যিনি কাটবেন তাকে ৫ কোটি টাকা তিনি দেবেন।
মহন্তের দাবি, সস্তার রাজনীতির জন্য দেবতাদের নাম বদনাম করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। অন্যদিকে প্রয়াগরাজের স্বামী ফলাহরি মহারাজ, কল্যাণের বিরুদ্ধে অনশন শুরু করে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, ওই সাংসদের বিরুদ্ধে যতক্ষণ পর্যন্ত না কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ তিনি অনশন চালিয়ে যাবেন।
Related Posts
যদিও এখনও পর্যন্ত মহন্তের এই মন্তব্য বিষয়ে মুখ খোলেননি কল্যাণ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তৃণমূলের সভায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, “সীতা রামের কাছে গিয়ে বলেছিলেন, ভাগ্যিস রাবণ আমাকে হরণ করে নিয়ে গেছিল। যদি তোমার চ্যালাগুলো আমাকে হরণ করে নিয়ে যেতো, তাহলে আমার উত্তরপ্রদেশের হাথরসের ধর্ষিতা মেয়েটির মতো অবস্থা হত।” তৃণমূল সাংসদের এই মন্তব্যের পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ইতিমধ্যে হাওড়া জেলায় বিজেপি কল্যাণের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন। সাংসদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিভিন্ন সংগঠনও। বেশ কিছু জায়গায় বিক্ষোভও চলেছে।
কল্যাণের এহেন বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে মুখ পুড়েছে শাসক দলেরও। দিন কয়েক আগেই এবিষয়ে মুখ খোলেন আরেক তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। তিনি বলেন, মা সীতা আমাদের কাছে আদর্শ, উনি দেবী। কল্যাণদার মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক নেতারা ভুলভাবে পরিবেশন করছেন এটা ঠিক না। আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। দেশের মধ্যে ঠাকুর-দেবতা নিয়ে এমন রাজনীতি বন্ধ হোক। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগে কল্যাণের বিরুদ্ধ সরব হয়েছে বিভিন্ন সংগঠনও।