West Bengal

‘মাথা নত করে ক্ষমা চাইছি আপনাদের কাছে’, এগরায় গিয়ে বললেন মমতা, বিস্ফোরণ কাণ্ডে পুলিশের ব্যর্থতার কথাও স্বীকার মুখ্যমন্ত্রীর

বিজ্ঞাপন

এগরায় বাজি কারখানার বিস্ফোরণ নিয়ে গোটা রাজ্যে তোলপাড় শুরু হয়। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। শাসক দলকে কটাক্ষ শানানো হয়। ওই বিস্ফোরণ কাণ্ডের ১১ দিন পর এবার এগরায় গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাজিদগ্ধ খাদিকুল গ্রামে দাঁড়িয়ে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

এগরার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। ঘটনার দু’দিন পর কটকের হাসপাতালে মৃত্যু হয় এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত বাজি কারখানার মালিক ভানু বাগের। এদিন মৃতদের পরিবার ও আহতদের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন মমতা। মৃতদের পরিবারের একজনকে হোমগার্ডে চাকরিও দেন।

বিজ্ঞাপন

এদিন এগরায় দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, “এই ঘটনা থেকে আমাদের চোখ খুলে গিয়েছে। আগামী দু’মাসের মধ্যে রিপোর্ট আসবে। অবৈধ বাজি কারখানায় কাজ করে জীবন নষ্ট যেন না হয়। শুধুমাত্র গ্রিন ফায়ার ক্র্যাকারের ক্লাস্টার তৈরি হবে ফাঁকা জায়গায়। তাতে চাকরিটা বাঁচবে। এমন দুর্ঘটনাও হবে না”।

বিজ্ঞাপন

মমতার কথায়, “আমি এখানে জনসভা করতে আসিনি। তবে একটু আগেই আসা উচিত ছিল। কিন্তু কয়েক দিন আকাশ মেঘলা ছিল। তাই পরিস্থিতি আমায় অ্যালাউ করেনি। তবে আজ সকালেও যখন বৃষ্টি হচ্ছে আমরা রিস্ক নিয়ে বেরিয়ে আসছি। কারণ, আমাকে আসতেই হবে এক বার। আমি আপনাদের সকলের কাছে মাথা নত করে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইছি”

বিজ্ঞাপন

মমতার সংযোজন “শব্দবাজি কারখানা অবৈধ। লোভে পড়ে অনেকে এই বাজি তৈরি করতে যান। তাতে প্রাণহানি হয়”। তিনি জানান, নিহতদের পরিবারের হাতে আড়াই লক্ষ করে টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। এবং পরিবার পিছু একটি করে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হচ্ছে। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের হাতে ওই চেক তুলে দিয়ে মমতা বলেন, “অন্তত সংসার চালান”।

এদিন এগরায় দাঁড়িয়ে ভানু বাগ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “কটকে একটি নার্সিংহোমে নাম বদল করে ভর্তি ছিলেন। কিন্তু আমাদের পুলিশ সেখানে পৌঁছে গিয়েছিল। তাঁকে পুলিশ গ্রেফতারও করা হয়েছিল। দুর্ভাগ্যের ব্যাপার তিনি কিছু বলার আগে মৃত্যু হয় তাঁর”।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়দের উদ্দেশে মমতার বার্তা, “আপনারা নজর রাখুন অবৈধ বাজি যদি কোথাও তৈরি হয়, সঙ্গে সঙ্গে ওসিকে রিপোর্ট করবেন। যদি সেই ওসি অ্যাকশন না নেন, তা হলে আমার উপর ছেড়ে দেবেন। আমি দু’দিনে ওই ওসিকে চেঞ্জ (বদলি) করে দেব”।

বিস্ফোরণের পর এগরা থানার ওসি মৌসম চক্রবর্তীর বদলির ঘটনা উল্লেখ করে প্রশাসনিক ব্যর্থতার কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এখানেও নতুন ওসি এসেছেন। আগে যিনি ছিলেন, তাঁকে বলা সত্ত্বেও তিনি অ্যাকশন নেননি বলে শুনেছি। সঠিক সময়ে ইন্টেলিজেন্স (গোয়েন্দা) যদি কাজ করত, তা হলে এমন জিনিস ঘটত না”।

বিজ্ঞাপন
Back to top button

Discover more from Khabor24x7

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading