অমিত শাহ্’র সফরের আগেই কপালে ভাঁজ মমতার! দলের সমস্ত সাংসদ-বিধায়কদের জরুরি তলব

সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। এর আগেই আগামী ২৯শে জানুয়ারি তৃণমূল ভবনে দলের সমস্ত সাংসদ ও বিধায়কদের জরুরি তলব করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে দলে কী বিষয় নিয়ে ঠিক আলোচনা হবে, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। তবে ৩০শে জানুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্’র বাংলা সফরের আগেই এরকম একটা বৈঠককে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
গতমাসে অমিত শাহ যখন রাজ্য সফরে আসেন, তখন সেই সময় শুভেন্দু অধিকারী-সহ তৃণমূলের একঝাঁক নেতা গেরুয়া শিবিরে যোগ দেয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এবারেও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। ঘাসফুল শিবির থেকে প্রায় জনা দশেক নেতা বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে খবর রয়েছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন কয়েকজন বিধায়ক ও সাংসদ।
স্বাভাবিকভাবেই, শাহ্’র এবারের সফর নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে বেশ উত্তাপ বেড়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের আগে দলের বিধায়ক, সাংসদদের মনোভাব বুঝতেই যে তৃণমূল সুপ্রিমো এই বৈঠক করছেন, তা বেশ স্পষ্ট। এর আগে পরশুড়া সভা থেকে মমতা সাফ জানিয়ে দেন যে যারা দল ছাড়তে চান, তাঁরা এখনই ছেড়ে দিতে পারেন। ২৯শে জানুয়ারি বৈঠকেও তিনি এই কথাই পরিষ্কার করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, এদিন মমতা দলের সাংসদ-বিধায়কদের সতর্কতা জানাতে পারেন যে কোনওরকম দলবিরোধী মন্তব্য বরদাস্ত করা হবে না। ইতিমধ্যেই, দলবিরোধী মন্তব্য করার জন্য তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া। বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগে নিজের পদ থেকে অপসারিত হতে হয়েছে পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়কে।
মনে করা হচ্ছে, ২৯শে জানুয়ারি কালীঘাটের বৈঠকে দলের নানান ‘বেসুরো’ নেতা-বিধায়কদেরই সতর্ক করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের বৈঠকে কে কে উপস্থিত থাকবেন, সেই নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা। প্রবীর ঘোষাল বা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতারা বা অধিকারী পরিবারের দিব্যেন্দু অধিকারী বা শিশির অধিকারী, মমতার এই বৈঠকে হাজির থাকেন কী না, এখন সেইদিকেই তাকিয়ে গোটা রাজনৈতিক মহল।