West Bengal

‘আয় বৃষ্টি ঝেঁপে নিয়ে তো কোন কথা ওঠে না, তাহলে হরে করে কম্বা নিয়ে এত সমালোচনা কেন ‘, অভিমানের সুরে প্রশ্ন মমতার!

বিজ্ঞাপন

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাব্যরস নিয়ে আলাদা করে বোধহয় কিছু বলার নেই। তাঁর কাব্য রচনার নমুনার কথা আমাদের সকলেরই অল্পবিস্তার জানা। নিরলস কাব্য চর্চার জন্য বাংলা অ্যাকাডেমি পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। তাঁর অজস্র কবিতা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে ‘কবিতাবিতান’ কাব্যগ্রন্থে। তাঁর অনেক কবিতা আবার স্কুলের পঠন-পাঠনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সমালোচকদের কথায়, তাঁর এই কবিতাটি নাকি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘গীতবিতান’কে টেক্কা দেওয়ার জন্য নাম দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা নানান কবিতা দিয়ে নানান মহলে সমালোচনা, হাসি-ঠাট্টা করা হয়ে থাকে।

বিজ্ঞাপন

এবার এই নিয়ে একটু অভিমান প্রকাশ করলেন তৃণমূল নেত্রী। বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বলেই দিলেন যে ‘আয় বৃষ্টি ঝেঁপে’ কবিতাটি নিয়ে কখনও তো প্রশ্ন ওঠে না, তাহলে তাঁর লেখা ‘হরে করে কম্বা’ নিয়ে এত সমালোচনা হয় কেন?

বিজ্ঞাপন

এদিন সভায় বেশ অভিমানের সুরেই মমতা বলেন যে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন, যাদের তিনি শ্রদ্ধা করেন, সম্মান করেন। কিন্তু তারাই উল্টে তাঁর সমালোচনা করে যান। এদিন মমতা বলেন, “আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন কতো ছোটো ছোটো কবিতা পড়তাম। সেগুলো নিয়ে কোনও দিনই প্রশ্ন ওঠেনি। আয় বৃষ্টি ঝেঁপে / ধান দেবো মেপে নিয়ে কেই কোনও প্রশ্ন করেনি। প্রশ্ন ওঠেনি ‘কাঠবেড়ালি তুমি আমার বন্ধু হবে”।

বিজ্ঞাপন

যে সমস্ত মানুষ তাঁর কবিতাকে নিয়ে, তাঁর কাব্যরস নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করেন, তাদের উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, “এখন একটা আমি গ্রুপকে দেখি, এরা সমাজের একটা বড় অংশ, আমি এদের সম্মান করি। কিন্তু এদের আমি ভাবতে বলবো। একটি বাচ্ছাকে বাচ্ছার মতো হয়ে শিক্ষা দিতে হবে। এমন অনেক মানুষ আছে যাঁরা পুরোটা না শুনেই চিৎকার করতে শুরু করে দেয় ‘হরে করে কম্বার’ মতো”।

এদিন তিনি আরও বলেন, “আমি বললে আবার বলবে ‘হরে করে কম্বা’ কিছু হয় নাকি? নিশ্চয় হয়। কবিতার বইগুলো দেখে নিনি আগেকার দিনের। অনেক কিছুই চোখে পড়বে। নদী নিয়েও পড়বে। প্রকৃতি নিয়েও পড়বে। সবুজ ও শিক্ষা নিয়েও পড়বে। তাই আমরা গর্ব করেই বলি এই শিক্ষার সবটাই বাংলার মাটি থেকে উঠে এসেছে”।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
Back to top button

Discover more from Khabor24x7

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading